মেয়েদের মুখের আর মনের কথার জাদুকাঠি
বহু আগের থেকেই একটা কথা প্রচলিত আছে যে, নারীদের মন সহজে বোঝা যায় না। কারো কারো মতে, তাদের উপরে এক থাকলেও ভেতরে থাকে আরেক। তবে এমন ধারণাটা পুরো সত্যি না হলেও অনেকাংশেই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা আসলে একটু বেশি আবেগপ্রবণ, তাই তাদের কথায়বার্তায় একটা চাপা অনুভূতি লুকিয়ে থাকে। ‘হ্যাঁ’কে না বলেন, ‘না’কে বলেন হ্যাঁ। ফলে কোন কথার কী মানে, সেটাই বোঝা কঠিন।
তাই কি ইতিমধ্যে অনেকই তাদের গান কবিতাতে লিখে গিয়েছিলেন, ঈশ্বরকে বোঝাও এতো কষ্টকর নয়, যতটা কষ্টকর নারীর মন বোঝা। তাহলে আসুন সেই সব কথার আসল অর্থ জানতে উঁকি দিন নারীমনে। জেনে নিন কোন নারীর কোন কথার কী মানে।
১। ধরুণ কোন নারী কথার ফাকে চিৎকার করেই বলে বসলেন ‘ওয়াও’! আর এতে আপনি খুশিতে গদগদ? না, হবেন না। কেন না, নারীদের সব ‘ওয়াও’ কিন্তু ‘ওয়াও’ হয় না। অনেকসময় তিরস্কার জানাতেও তারা ‘ওয়াও’ বলে থাকেন। শুধু ‘ওয়াও’ বলার ধরনটা লক্ষ্য করতে হবে। তা হলেই বুঝে যাবেন পুরস্কার না তিরস্কার।
২। আবার দেখবে অনেক সময় অনেক নারী বলে থাকেন, ‘বাদ দাও’ ‘ছেড়ে দাও’। এমনটা তারা কখন বলেন? কনে বলেন? তা বুঝবেন কিভাবে? ধরুণ আপনার সঙ্গিনী বা প্রেমিকা বলছেন এমন কথা। তাই বলে জনাব, এই বাদ দেওয়া বা ছেড়ে দেওয়া কিন্তু একেবারেই বাদ দেওয়া বা ছেড়ে দেওয়া নয়। এটুকুই শুধু জেনে রাখুন, সেই বিষয়টি তিনি কোনওদিনই ছেড়ে দেবেন না বা বাদ দেবেন না।
৩। অনেক নারীকেই প্রশ্ন করলে প্রায় শোনা যায়, ‘আমার কিছু হয়নি’। সত্যিই কি তার কিছু হয়নি? কোনও নারী যদি বলেন তার কিছু হয়নি, জানবেন অনেক কিছু হয়েছে। তারা এমন কথা তখনই বলেন, যখন তারা অসম্ভব রেগে থাকেন। তাই প্রথমেই কারণ জানতে চাইবেন না। আগে তাকে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর জিজ্ঞেস করুন মাথা গরমের কারণ।
৪। আর হ্যাঁ, কোন মহিলা যদি কখনো আপনাকে বলেন, ‘আমার কথা আছে’। এমন কথা যদি কেউ আপনাকে বলে তবে সতর্ক হয়ে যান। আপনার সঙ্গে অনেক পুরোনো হিসেবে নিকেশ করতে চান সে।
৫। অনেক সময় দেখবেন মহিলারা বলে থাকে ‘গো অ্যাহেড’। এই গো অ্যাহেডের অর্থ কিন্তু গো অ্যাহেড নয়। এর মানে, স্টপ। থেমে যান। মনঃপূত না হলে এমন উলটো কথাই বলেন নারীরা। পুরুষের উচিত থেমে যাওয়া। এর কারণ একটাই। পছন্দসই কাজ হলে নারীরা নিজে থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন, বারবার প্রশ্ন করে অনেক কিছু জানতে চান।
৬। মেয়েদের একটা কমন স্বভাব হচ্ছে তারা প্রায় সময় কেমন কেমন করে জেন বলে থাকেন ‘ভালো’ শব্দটা। তবে প্রায় সময় তর্ক করার সময় তারা এমন বলে থাকেন। তবে এই ভালোর অর্থ ‘দারুণ’ নয়, এর অর্থ ‘এবার থামো’।
৭। নারীরা প্রায় সময় অভিমাণ হলেই বলে থাকেন ‘না’। তার মানে কি এই না সেই না? না জনাব। অভিমাণের মুখে নারীর না মানেই হ্যাঁ।
যেমন ধরুন ‘আইসক্রিম খাবে?’ ‘না।’ ‘ফুচকা খাবে?’ ‘না’। – এমন সময় প্রশ্ন না করে সোজা কিনে আনুন ফুচকা, আইসক্রিম। দেখবেন রাগের মাথায় হাত থেকে কেড়ে নিয়ে খেয়ে নেবেন।