এই কাজ করায় দীপা প্রায় ২ বছর নির্বাসিত
কলকাতা টাইমস :
বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারকে ২১ মাসের জন্য নির্বাসিত করল ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় এই কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হল বাঙালি কন্যাকে। জানা গেছে, দীপা কর্মকার হিগেনামাইন সেবন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
গত বছর মার্চ মাসে দীপার নির্বাসনের খবর সামনে আসে। কী কারণে তাঁকে নির্বাসিত করা হয়েছিল তা জানা যায়নি। এতদিন পর সেই কারণই সামনে এল। জানা গেছে, দীপা হিগেনামাইন নামে যে ওষুধ সেবন করেছিল তা ২০১৭ সালেই নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই ড্রাগটি অ্যান্টি-অ্যাজমাটিক হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল।
২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে দীপার প্রোদুনভা ভল্ট সাড়া ফেলে দিয়েছিল। তিনি দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে চতুর্থ হয়েছিলেন জিমনাস্টিক্স ইভেন্টে। ২০১৭ সালে দীপার চোটের স্থানে অস্ত্রোপচার হয়। তারপর থেকেই তাঁর ফর্মের অবনতি হতে থাকে। ২০১৯ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নামলেও সেই ধার দেখা যায়নি।
চোটের জন্য তিনি ওষুধ সেবন করলেও সেই নিয়ে তথ্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে দেননি। যারা বিশ্ব জিমনাস্টিক্সের বাছাই তালিকায় রয়েছেন, তাঁদের প্রতি ছয় মাস অন্তর তাঁদের গতিবিধির বিবরণ জানাতে হয়। সেটি করেননি দীপা ও তাঁর কোচ।
২০১৯ সালের পর থেকেই চোটের জন্য ট্র্যাকের বাইরে এই বাঙালি অলিম্পিয়ান। তারপর এই নির্বাসন। আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত দীপার ঘাড়ে ঝুলবে এই নির্বাসনের খাঁড়া। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই নির্বাসনই কি ক্যারিয়ার শেষ করে দেবে দীপার, নাকি ফের ফিরে আসবেন তিনি?