বাঁচতে চান তো? তাহলে ভুলেও মুখে এই ইটা চিবোবেন না !
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
মুখ চালাতে বা কিছুটা অভ্যাসের বসেই অনেকে চুইং গাম খেয়ে থাকেন। কিন্তু আর নয়। অনেক হয়েছে জাবর কাটা। এবার এই অভ্যাসে ইতি টানতে হবে, না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ। কেন এমন বলছি তাই ভাবছেন তো? একবার এই প্রবন্ধে চোখ রাখুন, তাহলেই বুঝে যাবেন চুইংগাম শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক। চুইংগাম এবং জাং ফুড: একধিক গবেষণা পত্র ঘেঁটে জানা গেছে মিন্ট ফ্লেবারের চুইংগাম খেলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। পরিবর্তে ভাজাভুজি এবং শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়। আর একথা তো সকলেই জানেন যে এমন খাবার খেলে শরীরের তো কোনও উপকালে লাগেই না, উল্টে একাধিক রোগ, যেমন- কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই এবার থেকে মুখ চালাতে ইচ্ছা হলে আর চুইংগাম নয়, খাওয়া শুরু করুন অন্য কিছু।
পেশির রোগ দেখা দেয়: চুইংগাম চিবানোর সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাজ করতে হয় মুখের পেশিকে। তাই তো এমনটা দীর্ঘসময় ধরে হতে থাকলে এক সময়ে গিয়ে “টেম্পোরামেন্ডিবুলার জয়েন্ট ডিজঅর্ডার ” এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, এই রোগটি হলে জয়েন্টে প্রচন্ড যন্ত্রণা, খেতে অসুবিদা হওয়া, মাথায় যন্ত্রণা প্রভৃতি লক্ষণগুলির বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে।
পেটের রোগ দেখা দেয়: চুইংগাম খাওয়ার সময় প্রচুর পরিমাণে বায়ু আমাদের শরীরে অন্দরে প্রবেশ করে। ফলে পেটে যন্ত্রণা, অস্বস্তি, হজমের সমস্যা সহ একাধিক পেটের রোগ দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু কেস স্টাডি করে এও জানা গেছে যে অম্বল এবং গ্যাসের মতো সমস্যা হওয়ার ক্ষেত্রেও চুইংগামের ভূমিকা থাকে। তাই সাবধান!
মাথা যন্ত্রণা এবং অ্যালার্জি: চুইংগামে উপস্থিত প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল ফ্লেবার এবং মাত্রাতিরিক্ত চিনির কারণে শরীরে অন্দরে টক্সিক উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়, যে কারণে ক্রনিক মাথা যন্ত্রণা এবং অ্যালার্জির প্রকোপ বৃদ্ধির পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
দাঁতের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়: মাত্রাতিরিক্ত চুইংগাম খেলে এক সময়ে গিয়ে দাঁতের ক্ষয় হতে শুরু করে দেয়। আসলে এতে উপস্থিত চিনি এই ক্ষয়টা করে থাকে। শুধু তাই নয় মুখ গহ্বরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে আরও সব রোগকেও ডেকে আনে চাইংগাম। তাই দাঁতকে বাঁচাতে আজ থেকেই এটি খাওয়া বন্ধ করুন। না হলে কিন্তু…
ডায়ারিয়া: একেবারে টিক শুনেছেন! ডায়ারিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে চুইংগামের। আসলে এতে উপস্থিত ম্য়ানিটোল এবং সর্বিটল নামে এক ধরনের আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ইন্টেস্টাইনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরের এই অংশে প্রদাহ সৃষ্টি করে। যে কারণে ডায়ারিয়া, পেট খারাপ সহ নানাবিধ রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
শরীরে ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে চুইংগামে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরে ভিতরে প্রবেশ করে এমন বিক্রিয়া ঘটায় যে ধীরে ধীরে শরীর ভাঙতে শুরু করে। সেই সঙ্গে একাদিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
বাচ্চাদের বৃদ্ধি আটকে যায়: ছোট থেকে বাচ্চারা চুইংগাম খেতে শুরু করলে তাদের মুখের গঠন একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে তাদের বৃদ্ধির স্বাভাবিক ধারাও ব্যাহত হয়। তাই ছোটদের ভুলেও চুইংগাম খাওয়ানো চলবে না।