September 29, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ভয়ে নয় ভিজুন আনন্দে, শরীর ও মনে আসবে যৌবনের প্লাবন

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস: 

শরীরখারাপের কথা ভেবে বৃষ্টিকেএড়ান যাঁরা, তাঁরা জেনে নিন, একাধিক গবেষণা বলছে, বৃষ্টিতে ভিজলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং মন ও মস্তিষ্ক ঝরঝরে, চাঙ্গা হয়ে যায়। কারণটা জেনে নিন…

বৃষ্টির জল শরীর থেকে টক্সিন কমিয়ে দেয়: বেশ কিছু গবেষক বলছেন, বৃষ্টির জলে প্রচুরঅ্যালকেলাইন আছে। তাই এই জল পান করলে শরীরের ভিতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। এখানেই শেষ নয়, অ্যালকালাইন রক্তের পিএইচ লেভেলকে স্বাভাবিক রাখে। ফলে শরীরে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে একাধিক রোগের প্রকোপ হ্রাস পায়।

হজমের সমস্যা কমে: শুনতে অবাক লাগলেও একথা প্রমাণিত, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩ চামচ বৃষ্টির জল খেলে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস-অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা নাকি একেবারে কমে যায়। সেইসঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।

দূষণ মুক্ত পানীয়: সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা বলছে, বৃষ্টির জল পরিষ্কার পাত্রে সংগ্রহ করে খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। কারণ, আকাশ থেকে ঝরে পড়া জলে কোনো জীবাণু থাকে না| তবেজল সংরক্ষণের আগে খেয়াল রাখবেন, যে পাত্রে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করছেন সেই কন্টেনার যেন জীবাণুমুক্ত হয়| না হলে শরীরের ভাল হওয়ার পরিবর্তে খারাপ হবে বেশি।

চুলের সৌন্দর্য বাড়ে: অনেককে বলতে শুনেছি বৃষ্টিতে ভেজার পর শ্যাম্পু না করলে নাকি চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টির জল বিশুদ্ধ। তাই এই জল দিয়ে চুল ধুলে স্কাল্পের ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা ধুয়ে যায়। ফলে চুলের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি খুসকি সহ নানা সমস্যাও কমে| এছাড়া, বৃষ্টির জল ত্বকের জন্য খুবই ভাল। কারণ, বৃষ্টির জল ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে ত্বক তার হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরে পায়| শুধু তাই নয়, বৃষ্টির পর বতাসে জলীয় বাস্প বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিবেশে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর জীবাণুর কর্মক্ষমতা কমে যায়। ফলে, ত্বক আরও উজ্জ্বল এবং সুন্দর হয়ে ওঠে।

মানসিক অবসাদ কাটে: বৃষ্টির পর কেমন মাটি থেকে সোঁদা গন্ধ বেরোয় দেখেছেন। এই গন্ধ মন-প্রাণ দিয়ে শ্বাসের সঙ্গে নিলে দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। গবেষকরা এই গন্ধকে ‘পেট্রিকোর’ নামদিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বৃষ্টি মাটিতে পড়লেই মাটির মধ্যে উপস্থিত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া বিশেষ এক ধরনের কেমিক্যাল রিলিজ করে। তার থেকেই এমন সোঁদা গন্ধ বেরতে শুরু করে।

নিমেষে স্ট্রেস উধাও: বেশ কিছু কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, তুমুল বৃষ্টিতে ৫ মিনিট ভিজলে স্ট্রেস লেভেল একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে আজকের দিনে যে যে মারণ রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তার বেশিরভাগের সঙ্গেই স্ট্রেসের যোগ রয়েছে। তাই বুঝতে নিশ্চয় অসুবিধা হচ্ছে না যে শরীরকে সুস্থ রাখতে বৃষ্টিতে ভেজা কতটা জরুরি।

সর্বরোগ হরে বৃষ্টি: একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত, বৃষ্টির সময় হাওয়া-বাতাস খুব বিশুদ্ধ হয়ে যায়। তাই ওই সময় শ্বাসের মধ্যে দিয়ে শরীরে প্রবেশ করা বাতাস আমাদের দেহের উপকারে লাগে। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির সময় পরিবেশে উপস্থিত টক্সিক উপাদানের ক্ষতি করার ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে এই সময় বাড়ির বাইরে থাকলে সব দিক থেকে শরীরের ভালই হয়। তবে ১০-১২ মিনিটের বেশি বৃষ্টিতে ভেজা চলবে না। এতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

Related Posts

Leave a Reply