না দেখলে বিশ্বাস হবে না এটি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম জাদুঘর!
কলকাতা টাইমস :
রাস্তার পাশে দাঁড়ানো লাল টুকটুকে ভিন্টেজ ব্রিটিশ টেলিফোন বুথ। গায়ে তার ঝালর ঝালর জামা। সেটিও লাল। বাইরে থেকে আপাতদৃষ্টিতে দেখে বোঝার উপায় নেই ভিতরে কী ঐশ্বর্য লুকানো রয়েছে।
পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ওয়ারলে। রাস্তার ধারে দাঁড় করানো এই ছোট্ট একটি টেলিফোনবুথ আসলে বুথ নয়, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম জাদুঘর।
ওয়ার্লে মিউজিয়ম। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছে এই খুদে সংগ্রহশালা। কি আছে এই ক্ষুদ্রতম জাদুঘরে?
এবার জেনে নেওয়া যাক এই ছোট জাদুঘর সম্পর্কে:
– সেলফোন আসার পর থেকেই অকেজো হতে শুরু করেছিল টেলিফোন বুথগুলো। মোবাইলের যুগে প্রয়োজন ফুরোতেই ব্রিটিশ টেলিকমিউনিকেশন এক সঙ্গে ৪৩টি টেলিফোন বুথ বাতিল করে দেয়।
– কিন্তু এই বুথটি ছিল অন্যগুলোর থেকে একেবারে আলাদা। এর রং, ডিজাইন সবটাই ছিল ‘ইউনিক’।
– আর সেই কারণেই অন্য বুথগুলোর সঙ্গে আস্তাকুঁড়ে যেতে হয়নি একে। ওয়ারলে কমিউনিটি অ্যাসোশিয়েশন এই বুথটিকে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
– প্রথমে ঠিক হয় লাইব্রেরি তৈরি করা হবে এই বুথের মধ্যে।
– তবে শেষ পর্যন্ত মিউজিয়াম তৈরির সিদ্ধান্তই পাকা হয়। এরপর ওয়ারলে কমিউনিটির একদল উৎসাহী
মানুষ মিলে নানারকম ঐতিহাসিক সামগ্রী দিয়ে বানিয়ে ফেলেন ছোট্ট এই মিউজিয়াম।
– প্রতি তিন মাস অন্তর এর ভিতরের সমস্ত সামগ্রী পরিবর্তন করে আবার নতুন জিনিস দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়।
– ওয়ারলে কমিউনিটি অ্যাসোশিয়েশনের চেয়ারওম্যান এলিয়ানা বেলি বলেন, ‘‘আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস সাড়া
ফেলে দিয়েছে। যাঁরা দেখেছেন সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছেন।’’
– কখনও ইয়র্কশায়ারে বেড়াতে গেলে ‘দ্য মেপোল ইন’-এর সামনে দাঁড়ানো ৩৬ বর্গফুটের এই পুঁচকে সংগ্রহশালাটি দেখতে ভুলবেন না যেন।