এ খবর পড়ার পরে প্লাস্টিকের বোতলে জল খাওয়ার সাহস করবেন না!
কলকাতা টাইমস :
জলের অপর নাম যে জীবন, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু জল খাওয়া নিয়ে যদি বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন না করা হয়, তাহলে দেখা দিতে পারে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা। সুস্থতার জন্য শুধু যে বিশুদ্ধ জল পান করা আবশ্যক তা-ই নয়, কোন পাত্র থেকে জল পান করা হচ্ছে সেটাও রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল খাওয়া হলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্ট।
জল খাওয়ার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাস্টিকের বোতল। কিন্তু ট্রেডমিল রিভিউ নামের একটি বেসরকারি সমীক্ষা সংস্থা তাদের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জানিয়েছে, প্লাস্টিকের বোতল থেকে নিয়মিত জল খাওয়া হলে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কেন, জানেন?
সমীক্ষকরা জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের বোতল বারবার ব্যবহার করতে করতে তার ভিতরে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। সাধারণভাবে অধিকাংশ মানুষই দীর্ঘদিন বোতল না ধুয়েই বোতল ব্যবহার করেন। এতে এই সমস্ত ব্যাকটেরিয়ার জন্মলাভের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাছাড়া সাধারণ জল দিয়ে কিংবা সাবান জল দিয়ে বোতল ধুলেও এই ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। আর এই সমস্ত ব্যাকটেরিয়ার ৬০ শতাংশই শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। পেটের বিভিন্ন রোগের জন্মদাতা এইসব ব্যাকটেরিয়া।
কিন্তু কী ধরনের বিপদ লুকিয়ে রয়েছে বোতলে? সমীক্ষকরা জানাচ্ছেন, তারা তিন ধরনের বোতল নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন— প্যাঁচ লাগানো বোতল, স্লাইড করা ছিপি লাগানো বোতল, আর স্ট্র টপ বোতল, অর্থাৎ
যেগুলির মুখ হয় স্ট্র-এর মতো ছুঁচলো। এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো স্লাইড করা ছিপিওয়ালা বোতল। কারণ এই ধরনের বোতলেই সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে।
সমীক্ষকরা বলছেন, এই ধরনের বোতল থেকে জল খাওয়া আর কমোডের সিট চাটা একই রকমের ক্ষতিকর। কারণ কমোডের সিটে যে পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকে, স্লাইড করা ছিপি ওয়ালা বোতলেও সেই পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকে। স্ট্র টপ বোতল এইদিক থেকে সবচেয়ে নিরাপদ। আর প্যাঁচ দেয়া ছিপি সমেত বোতলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ থাকে মধ্যম মানের।
তাহলে কোন ধরনের বোতল সবচেয়ে নিরাপদ। সমীক্ষকরা জানিয়েছেন, স্টেইনলেস স্টিলের বোতল থেকে জল খাওয়া তুলমামূলকভাবে নিরাপদ। আর প্লাস্টিকের বোতল যদি ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে কোনো বোতলই দু’ সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করা উচিৎ নয়।