আপনিও কি এই অদ্ভূতে ভয় পান ? তাহলে …
কলকাতা টাইমস :
টিকটিকি দেখে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যায় অনেকের; আবার বাথরুমে আরশোলা দেখে লাফালাফি করে হাসির পাত্র হওয়ার নজিরও কম নেই। যতই হাসাহাসি করুন না কেন জেনে নিন এগুলো আসলে মানসিক রোগ। এগুলো নিয়ে অবহেলা কিংবা হাসাহাসির কিছু নেই। জেনে নিন, মানুষ কতরকম বিচিত্র সব ফোবিয়ায় ভোগে :
প্যানফোবিয়া : কোনও কারণ ছাড়াই সব কিছুতে ভয় পান এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা। ফরাসি মনোবিদ রিবো সর্বপ্রথম প্যানফোবিয়া শব্দটির ব্যবহার করেন।
হিপনোফোবিয়া : ঘুমোতে কে না ভালবাসে। তবে, হিপনোফোবিয়ায় যারা ভোগেন তারা ঘুমোনোর কথা ভেবেই সিঁটিয়ে থাকেন। ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নের ভয় পান।
ইউফোবিয়া : সুখবর শুনলে ইউফোবিয়ায় আক্রান্তরা ভয় পান। খুশি হওয়ার বদলে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
অ্যাব্লুটোফেবিয়া : স্নান করতে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে তারা আতঙ্কিত হন। অতীতের কোনও অভিজ্ঞতার ফলে এ ধরনের আচরণ করেন তারা।
অর্টোগ্রাফোবিয়া : বানান ভুল করার আতঙ্কে ভোগেন এই ফোবিয়ায় আক্রান্তরা। এমনকী, এ ধরনের ফোবিয়া আছে এমন ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষাতেও থিয়োরি পেপারে ভাল ফল করতে পারেন না।
ডিএপনোফোবিয়া : ডিনারের সময় কথাবার্তা বলাতেও ভয় পান এই ফোবিয়ায় আক্রান্তরা। এক সঙ্গে খেতে বসে তারা কথা বলতে চান না।
ভেনুস্ট্রাফোবিয়া : সুন্দরী মহিলাদের দেখলে অহেতুক হাত-পা কাঁপতে থাকে এই ফোবিয়ায় আক্রান্তদে। অচেনা কোনও মহিলা দেখলে দৌড়ে পালিয়ে যেতে চান তারা।
আর্গোফোবিয়া : শারীরিক-মানসিক বা আবেগঘটিত কারণে কাজ করতে ভয় পান আর্গোফোবিক ব্যক্তিরা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উদ্বেগের জন্য আর্গোফোবিয়া হয়।
নোমোফোবিয়া : মোবাইল হারালে তারা রীতিমতো ঘাবড়ে যান। এমনকী, মোবাইলের ব্যাটারি লো হলে বা নেটওয়ার্ক কভারেজ না পেলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা।
ফোবোফোবিয়া : যে কোনও রকমের ফোবিয়া হতে পারে সারাক্ষণ এই ভয়ই পেতে থাকেন ফোবোফোবিয়ায় আক্রান্তরা। নানা কারণেই এ ধরনের জটিল মানসিক অবস্থা হতে পারে।