আপনার হাত কি সব সময় ঠাণ্ডা থাকে ? পেছনে এই ১০ কারণই
শীতে হাত ঠাণ্ডা হবেই। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যেকোনো মৌসুমে হাত অস্বাভাবিক ঠাণ্ডা থাকাটা মোটেও স্বাভাবিক নয় বলে জানান নিউ ইয়র্কের এলআইজে হেলথ সিস্টেমের কার্ডিওলজিস্ট ডেভিড আ ফ্রাইডম্যান। হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে ১০টি কারণের কথা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞ।
১. রেনডস সিনড্রোম : ঠাণ্ডা আঙুলের অতি সাধারণ কারণটি হলো রেনডস সিনড্রোম। এ সমস্যায় আঙুলে রক্তবাহী নালীগুলো সরু হয়ে আসে। এ সমস্যা পায়ের পাতা, নাক বা কানেও হতে পারে। এতে ঠাণ্ডা অনুভূতির সঙ্গে কিছুটা স্ট্রেস দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে হাতের আঙুলগুলো সাদাটে দেখায়। আবার যখন রক্ত চলাচল ঠিকঠাক হয় তখন হাত লালচে হয়ে যায়। এটা ক্ষতিকর নয়। তবে অস্বস্তিকর।
২. অটোইমিউন ডিজিস : একটা বিশেষ অবস্থা যা রেনডস-এর মতোই। একে বলে লুপুস। এমন এক ডিসঅর্ডার যেখানে বিপাকক্রিয়া তার নিজের টিস্যুতে আক্রমণ করে। একে স্ক্লেরোডার্মা ডিজিস বলে। এ সমস্যাতে হাতের আঙুল ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
৩. হাইপোথায়রোইডিজম : দেহের থায়রয়েড গ্রন্থি কাজ করলেও তার প্রভাব হাত পর্যন্ত পৌঁছায় না। থায়রয়েড গ্রন্থিকে দেহের থার্মোস্টেট বলা হয়। এতে সমস্যা দেখা দিলে দেহের তাপমাত্রা হেরফের হয়।
৪. রক্ত চলাচলে সমস্যা : দেহে রক্ত চলাচলে সমস্যা হলে হাতের আঙুল ঠাণ্ডা হতে পারে। যখন দেহে রক্ত চলাচলে সমস্যা হলে বড় প্রভাবটা হাতে গিয়ে পড়ে। তখন তা ঠাণ্ডা মনে হয়।
৫. অ্যানেমিয়া : দেহে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ কমে গেলে অ্যানেমিয়া হয়। এতে রক্তে অক্সিজের পরিমাণ কমে আসে। ফলে হাতে হাতে শীতল অনুভূত হয়।
৬. ভিটামিন বি১২-এর অভাব : এই ভিটামিনটি লোহিত রক্তকণিকার গঠনে সহায়তা করে। এর অভাবে রেড ব্লাড সেল কমে আসে। ফলে এক ধরনের অ্যানেমিয়া দেখা দেয়।
৭. নিম্ন রক্তচাপ : ডিহাইড্রেশন, দেহ থেকে রক্ত কমে গেলে, বিশেষ ধরনের ওষুধ খাওয়ার কারণে রক্তচাপ কমে আসতে পারে। এতে রক্তবাহী নালী রক্তগ্রহণ করতে চায় না। এর প্রভাব হাতের ওপর পড়ে।
৮. স্ট্রেস এবং উৎকণ্ঠা : এ কারণেও দেহ ঠাণ্ডা হয়ে আসতে পারে। ক্রনিক স্ট্রেসের কারণে দুই হাত শীতল হয়ে আসে। দেহের অ্যান্ড্রিনালিন হরমোন বৃদ্ধি পেলেও এমন হয়।
৯. ওষুধ : নানা সমস্যার কারণে ওষুধ খাওয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বহু ওষুধ আছে যা আঙুলের রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে দুই হাত বরফের মতো শীতল মনে হয়।
১০. ধূমপান : ধূমপান সবদিক থেকেই ছেড়ে দেওয়া জরুরি। সিগারেটের নিকোটিন রক্তবাহী নালীকে সরু করে দেয়। আর রক্ত চলাচল বন্ধ মানেই হাত দুটো ঠাণ্ডা।