November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

জানেন কি ঘুম ভাঙানি অ্যালার্ম কতটা বিপজ্জনক?

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ঘুম আমাদের শারীরিক প্রক্রিয়ার মাঝে একটি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়ার। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমাদের ঘুম দরকার আছে। নয় তো আমাদের দেহে সাধারণ কর্মপ্রক্রিয়াতে বাঁধা পায়। অনেকেই আছেন যাদের রাতে দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস। তবে তারা সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠার জন্য ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন। কিন্তু তারা জানেন না যে নিজেদের কতো বড় সর্বনাশ করতে চলছে। আসুন জেনে নেই অ্যালার্ম দিয়ে ঘুম ভাঙালে আমাদের কি কি ক্ষতি হতে পারে।

যারা কম ঘুমানোর জন্য অ্যালার্ম দিয়ে জেগে উঠেন, তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কম ঘুম ব্লাড সুগারের ওপর প্রভাব ফেলে ও ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি হ্রাস করে। একজন তরুণ মানুষ যিনি সপ্তাহের ছয় রাত ৪ ঘণ্টা করে ঘুমান, তার মধ্যে প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে।

পরবর্তী ১ সপ্তাহ তিনি যদি তার ঘুমের সময়কাল বাড়িয়ে দেন, তবে তিনি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবেন।

প্রতিদিনের ঘুমের খুব সামান্য হেরফের আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আপনি যদি রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে পারেন তবে উপকার পাবেন। কম ঘুমের সাথে পেটের/বুকের জ্বালাপোড়ার গভীর ষড়যন্ত্র আছে।

যারা কম ঘুমান, আর সকালে ঘুম কমপ্লিট না করেই জেগে উঠেন তাদের ৯০% মানুষ বিষণ্ণতায় ভোগেন। যাদের ইনসমনিয়া, স্লিপ এপনিয়া এ ধরনের স্লিপিং ডিসঅর্ডার আছে, তাদের অধিকাংশই বিষণ্ণতার রোগী। দেখা গেছে, যারা কম ঘুমায় তাদের সুইসাইড করার প্রবণতা বেশি থাকে।

দীর্ঘদিন ধরে গভীর ঘুমকে অ্যালার্ম দিয়ে ভাঙালে শরীরে নানাবিধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়
খুব বেশি পরিমাণে আপত্কালীন অ্যাড্রিনালিন হরমোন ক্ষরণ হয়। অ্যাড্রিনালিন হরমোনের অধিক ক্ষরণে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।

হৃদযন্ত্রের উপর খুব বেশি চাপ পড়াটাও ক্ষতিকারক। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে।

লক্ষ্য করবেন, অ্যালার্ম কলে ঘুম ভেঙে গেলেও বেশ কিছুক্ষণ ঘুমভাব থেকে যায়। কাজ করার এনার্জি থাকে না।

ঠিকঠাক ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। মাথায় যন্ত্রণা অনুভব করে থাকবেন।

অবসাদ বাড়িয়ে তোলে। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ক্রমশ লোপ পায়।

প্রতিদিনের সুস্থতায় কাজ, খাওয়া, ব্যায়াম যেমন জরুরি তেমনই পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি। তাই দিনের শেষে একটি সুন্দর ও নির্ঝঞ্ঝাট ঘুম নিশ্চিত করুন।

Related Posts

Leave a Reply