একটি স্মার্টফোন বানাতে কত বেচতে কত জানেন ?
স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা ও উপকারিতার কারণে মানুষের হাতে হাতে একটি করে স্মার্টফোন দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমানে বেশ স্বল্পমূল্যেই উন্নত স্মার্টফোন পাওয়া যায়। পাশাপাশি গুণগত মান, সফটওয়্যার, ক্যামেরা এবং অন্যান্য দিক দিয়ে একদম ভালো মানের স্মার্টফোনও পাওয়া যায়। প্রযুক্তির ভাষায় যাকে বলে লেটেস্ট অ্যান্ড গ্রেটেস্ট স্মার্টফোন।
নামীদামী মোবাইল কোম্পানিগুলো সব ধরনের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই সাধারণত তাদের ফোনগুলো বাজারজাত করে থাকে। একদম কম দাম থেকে মধ্যম দামের এবং সব দিক থেকে উন্নত বেশি দামী স্মার্টফোনও তারা বাজারজাত করে থাকে। এদিক থেকে দেখলে অ্যাপল কোম্পানি একটু আলাদা। তারা সবসময়েই সমাজের অভিজাত সদস্যদের লক্ষ্য করে বেশি দামী স্মার্টফোন তৈরি করে থাকে।
যেমন ২০১৭ সালে অ্যাপল তাদের আইফোন টেন বের করেছে। যা বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড পরিমাণ দাম ১ হাজার মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশে যার দাম রাখা হচ্ছে লাখ টাকার উপরে। বিগত তিন বছর থেকে স্মার্টফোনগুলোর দাম দিনদিন বেড়েই চলেছে। এখান থেকে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে একটি স্মার্টফোনগুলো তৈরিতে খরচ কেমন হয়?
এত টাকা দামের ফোনগুলো তৈরি করতে কোম্পানিগুলোর কত টাকা খরচ হয়? তারা কতই বা মুনাফা অর্জন করে থাকে ফোনগুলো থেকে? জেনে হয়তো অবাক হবেন কিছু কিছু স্মার্টফোন থেকে কোম্পানিগুলো প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি লাভ করে থাকে। চলুন দেখা যাক কিছু স্মার্টফোন তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়, কত টাকায় বিক্রি করা হয় এবং কত টাকা লাভ করা হয়।
(১) আইফোন টেন (৬৪ জিবি)
তৈরিকৃত খরচ- ৩৭০.২৫ মার্কিন ডলার
বিক্রিত দাম- ৯৯৯ মার্কিন ডলার
লাভ- ৬২.৯৩%
(২) আইফোন ৮ (৬৪ জিবি)
তৈরিকৃত খরচ- ২৫৫.১৬ মার্কিন ডলার
বিক্রিত দাম- ৬৯৯ মার্কিন ডলার
লাভ- ৬৩.৪৯%
(৩) গুগল পিক্সেল এক্সএল (৩২ জিবি)
তৈরিকৃত খরচ- ২৮৫.৭৫ মার্কিন ডলার
বিক্রিত দাম- ৭৬৯ মার্কিন ডলার
লাভ- ৬২.৮৪%
(৪) স্যামসাং এস ৯ প্লাস
তৈরিকৃত খরচ- ৩৭৯ মার্কিন ডলার
বিক্রিত দাম- ৮৩৯ মার্কিন ডলার
লাভ- ৫৪.৮%
(৫) স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৮
তৈরিকৃত খরচ- ৩০৭.৫০ মার্কিন ডলার
বিক্রিত দাম- ৭২০ মার্কিন ডলার
লাভ- ৫৭.৩%