জানেন কি ৩ পেগ মদপান মানে ১ ঘণ্টা আয়ু গায়েব !
আপনি কি নিয়মিত তিন-চার পেগ করে মদ্যপান করেন? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় আর বয়স যদি ৪০ পেরোয়, তা হলে কিন্তু আপনার জন্য ২৩ ঘণ্টাতেই একদিন !
কেননা , প্রতি দিন আপনার আয়ু কমছে এক ঘণ্টা করে। এমনকি, সে অ্যালকোহলের চরিত্র যদি ওয়াইন কিংবা বিয়ারের মতো ‘নিরামিষ ’ও হয়, তা হলেও রেহাই নেই।
অতিরিক্ত সুরার ‘প্রতি এক পাত্র’ আপনার জীবন থেকে রোজ ছেঁটে দিচ্ছে প্রায় আধ ঘণ্টার কাছাকাছি সময়। চল্লিশোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে গড় আয়ুর ক্ষেত্রে যার সম্মিলিত প্রভাব প্রায় দু বছরের। চমকে যাওয়ার মতো এ তথ্য ছাপা হয়েছে বিশ্ববন্দিত বিজ্ঞানপত্রিকা ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালের একটি গবেষণাপত্রে।
দু-দশ জন নয়, ১৯টি দেশের অন্তত ছয় লাখ মাদপানে আসক্ত ব্যক্তির ওপর সমীক্ষা চালানোর পর এই ফল মিলেছে। আন্তর্জাতিক স্তরের ৮৩টি পৃথক সমীক্ষাকেও সামিল করা হয়েছিল এই গবেষণায়। স্বাভাবিক ভাবেই ল্যানসেটের মতো জার্নালের মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে স্বাস্থ্যমহলে।
এতদিন মনে করা হত, ধূমপানই শুধুমাত্র আয়ু কমায়। তাই আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন, ইউকে রেকমেন্ডেশন, মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশমতো দৈনিক মদ্যপানের সীমায় (পুরুষরা ১২০ মিলি ও মহিলারা ৬০ মিলি ) তেমন কোনো বিপদ দেখতেন না চিকিত্সকেরা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, পেটে অ্যালকোহল পড়ার পর সেই সুপারিশ মনে রাখার মতো লোক কমই।
কেননা, সাম্প্রতিক এই গবেষণায় স্পষ্ট, অতিরিক্ত মদেও তাত্পর্যপূর্ণ হারে কমে আয়ু। দৈনিক সীমাটিও আদতে ঝুঁকির নিরিখে অতিরিক্তই।
প্রকল্পের অন্যতম গবেষক, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড স্পিজেলহল্টারের কথায়, ‘সপ্তাহে সাত পেগের বেশি মদ মানেই হল চল্লিশোর্ধ্বদের জন্য মৃত্যু-শঙ্কা ক্রমাগত বেড়ে চলা।’
প্রকল্পের মুখ্য গবেষক, কেমব্রিজের অধ্যাপক অ্যাঞ্জেলা উডের মতে, ‘তাই দৈনিক সীমার অর্ধেক খাওয়াই বিচক্ষণতা।’