মোবাইলের কি প্যাডে এবিসিডি এলোমেলোর রহস্যময় ইতিহাস জানেন ?
কলকাতা টাইমস :
যত দিন যাচ্ছে মানুষের কথাগুলো তত যেন আঙুলের ডগায় চলে আসছে। ডেস্কটপ, ল্যাপটপ হয়ে স্মার্টফোন— বারে বারে আঙুলের সাহায্যেই সেই কথাগুলো কখনও চ্যাট কখনও বা দরকারি মেইল হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে অপর প্রান্তে।
এককালে টাইপ মানেই ছিল টাইপ কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অনুশীলন আর কোর্ট চত্বরে কোনও দরকারি কাগজ টাইপ করা। কিন্তু সেই ছবি পালটেছে। বাসের ভিড়ে নাজেহাল হয়েই হোক বা রেস্টুরেন্টে খেতে বসে, সকলেই ব্যস্ত কিছু না কিছু টাইপ করতে।
কিন্তু কখনও ভেবেছেন কি, সারাদিন এত বার যে কী বোর্ডটি দেখেন, তা সে ভার্চুয়াল হোক বা রিয়েল, কেন তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। অর্থাৎ ইংরেজি বর্ণমালার ক্রম অনুসারে এ, বি, সি, ডি এ ভাবে থাকে না তারা। এর পিছনে রয়েছে প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো ইতিহাস।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, প্রথম কি বোর্ড তৈরি হয় ১৮৬৮ সালে। ক্রিস্টোফার লাথাম স্কোলস তাঁর তৈরি সেই প্রথম কি বোর্ডে বর্ণমালা অনুযায়ীই কিগুলিকে সাজিয়েছিলেন। কিন্তু অচিরেই দেখা গেল এতে টাইপ করতে বিস্তর সমস্যা হচ্ছে। ভুল অক্ষরে আঙুল পড়ে যাচ্ছে, কি হয়ে যাচ্ছে জ্যাম!
বিষয়টি নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়লেন ক্রিস্টোফার সাহেব। পরবর্তী ৫ বছর ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে ১৮৭৩ সালে তিনি তৈরি করলেন নতুন কি বোর্ড। এ বার তিনি যেটা করলেন, সবথেকে বেশি ব্যবহৃত কিগুলিকে রাখলেন আগে। তিনি হিসেব করে দেখলেন কিউ, ডবলিউ, ই, আর, টি, ওয়াই— এই অক্ষরগুলিই সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই এগুলিকেই তিনি তাঁর নতুন কি বোর্ডের শুরুতে রাখলেন।
সেই থেকেই চলে আসছে কি বোর্ডের এই অক্ষর বিন্যাস। মাঝে কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় শতাব্দী। টাইপ রাইটার থেকে অত্যাধুনিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন— প্রাসঙ্গিক থেকে গিয়েছেন ক্রিস্টোফার লাথাম স্কোলস।