এই ধাতুর আংটি বা বালা পরেন কি, কি হতে পারে জানেন ?
কলকাতা টাইমস :
তামার বালা পরার রেওয়াজ বহু যুগ ধরে চলে আসছে। তবে তা অনেকটাই সৌন্দর্যের অঙ্গ হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে। কিন্তু এই অলঙ্কারটির অন্য আরও অনেক গুণ রয়েছে। যেমন বেশ কিছু রোগের উপশমে এই ধাতুটি বাস্তবিকই দারুন কাজে আসে। কিন্তু বালা তো কব্জিতে পরা হয়, তাতে শরীরের উপকার হয় কীভাবে? আসুন, বিস্তারিত জেনে নিই …
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে : শুনতে আজব লাগলেও এ কথার মধ্যে কোনও ভুল নয় যে ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাস্তবিকই তামার আংটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই ধাতুটি শরীরের সংস্পর্শে আসা মাত্র দেহে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যে তার প্রভাবে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় এসে যেতে সময় লাগে না।
স্ট্রেস কমে : তামার আংটি পরলে দেহে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে স্ট্রেসের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে রাগও কমে যায়।
অর্থ্রাইটিসের কষ্ট কমে : যারা অস্টিওপোরোসিস অথবা আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে ভুগছেন তাদের প্রায়শই কব্জিতে যন্ত্রণা এবং অস্বস্তি হওয়ার মতো লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে তামার বালাকে কাজে লাগাতে পারেন। কারণ এই ধরনের কষ্ট কমাতে এই ধাতুটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু কীভাবে তামার বালা এই কাজটি করে থাকে সে বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোনও সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।
প্রদাহ হ্রাস পায় : তামায় উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি উপাদান ত্বক ভেদ করে শরীরে প্রবেশ করা মাত্র যন্ত্রণা কমতে শুরু করে দেয়। তাই যারা প্রায়শই যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পরেন তারা আজ থেকেই তামার বালা পরা শুরু করুন।
খনিজের ঘাটতি দূর হয় : ঘামের সঙ্গে তামার বালায় উপস্থিত একাধিক ধাতু, বিশেষত জিঙ্ক এবং আয়রন শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করে। ফলে এই দুই খনিজের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে ক্ষিদে কমে যাওয়া, ক্লান্তি, রক্তাল্পতা, চুল পরে যাওয়া এবং বন্ধ্যাত্বের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
সংক্রমণের আশঙ্কা কমে : তামার আংটি পরলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনও ধরনের ক্ষতিকর জীবাণুই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। ত্বকের সংক্রমণ কমাতে তামার আংটি বা বালা দারুন কাজে এসে থাকে।
শরীরকে তরতাজা রাখে : তামায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধিমে করে দেয়। ফলে খাতায় কলমে বয়স বাড়লেও শরীরে তার কোনও ছাপই পরে না।