নিজের তোতলামি সারাতে এই সুপারস্টারকে কি করেছিলেন জানেন ?
কলকাতা টাইমস :
দুগগু, তুমি আমার হৃদয়ের উপহার। আমার জীবনের সেরা বন্ধু, আমার জীবনের সুবর্ণ অর্থ। আমি আজীবন তোমাকে ভালোবাসি। আমি সবসময় পাশে আছি, চিরকাল থাকব।’- নিজের ব্লগে লিখেছেন সুনয়না। সুনয়না অভিনেতা ঋত্বিক রশনের বড় দিদি।
‘আমার ভাই দুগগু’ শিরোনামের ব্লগ পোস্টটি নিজেদের ভাই-বোনের সম্পর্কের বিষয়েই লেখা। সুনয়না বলছেন, ঋত্বিক বয়সে তাঁর চেয়ে দুই বছর কম হতে পারেন কিন্তু সুনয়নার কাছে সবসময়ই ‘বড় ভাই’ ঋত্বিক। স্কুল জীবনের লাজুক কিশোর থেকে বড় হয়ে ওঠা, নিজের কথা বলার সমস্যা কাটিয়ে তোলা, একগুঁয়ে যৌবন অবস্থা সবই ধরা পড়েছে সুননয়ার ব্লগ পোস্টে।
ঋত্বিক রোশন স্বাভাবিকভাবেই তাঁর বোনের এই কাজে আপ্লুত। তিনি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে সুনয়নার ব্লগ পোস্ট করেছেন এবং লিখেছেন, ‘আমার মিষ্টি দিদি! আমাকে স্মৃতির পথ ধরে কোথায় নিয়ে চলে গেল। তোমাকে ভালোবাসি দিদি।’
সুনয়না জানিয়েছেন প্রথম প্রথম কথা বলতে সমস্যা হত ঋত্বিকের। কথা বলতে গেলে আটকে যেত। ‘তোতলামির সমস্যাটা কমাতে ও যথেষ্ট লড়াই করেছে নিজের সঙ্গে। ওর ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত দেখতাম ও বসে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ছে। সকাল বিকেল বাথরুমে বসেও পড়তে দেখেছি ওকে।’
ঋতিক রোশন যে বরাবরই ফিটনেস উৎসাহী এ নিয়ে সন্দেহই নেই। এতটাই তিনি এই বিষয়ে উৎসাহী যে অসুস্থ হলেও একবারের জন্যও ওয়ার্কআউট বাদ দেন না।
সুনয়না লিখেছেন, ‘জিম ও একটি দিনের জন্যও মিস করবে না। যদি সারাদিনের কাজ করে ফেরার পর রাত 1টাও বেজে যায় তাহলেও সে জিম করবেই। আমার মনে আছে একবার প্রচণ্ড ভাইরাল জ্বর হল ওর, তখনও ও জিম করেছিল কারণ ও বিশ্বাস করে জিম করলে ও সুস্থ থাকে। ও একজন অভিনেতা হিসেবে নিজের দায়িত্ব বুঝতে পারে এবং যেহেতু প্রযোজক-অভিনেতার পরিবারে মানুষ তাই ও বুঝতে পারে যে একজন পরিচালক বা প্রযোজক তাঁর কাজে কতখানি আর্থিক বিষয়ে জড়িয়ে থাকেন। সেজন্যই 103 ডিগ্রি জ্বর নিয়েও নিজের ডেব্যুয়ের সময় গানের শ্যুটিংএ পৌঁছে গিয়েছিল ঋত্বিক। ডাক্তারকে পাশে নিয়ে সেদিন শ্যুট করেছিল ও।’