November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

জানেন কি থ্যালাসেমিয়া যম গমপাতার রস!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

ক ধরনের ক্যান্সার আছে যাকে চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা হয় থ্যালাসেমিয়া বা ‘ব্লাড ক্যান্সার’। এতে শরীরে কোথাও ঘা অথবা টিউমার হয় না। কিন্তু আমাদের শরীরের মধ্যে যে রক্ত রয়েছে তার উৎপাদন বাধা প্রাপ্ত হয় ও প্রধান উপাদান লোহিত কণিকার সংখ্যা কমে যেতে থাকে। রোগীকে ১৫ দিন অন্তর নতুন করে শরীরে রক্ত দিয়ে কিছুদিন পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা হয়। এই ধরনের চিকিৎসার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে যাদের অর্থবল রয়েছে কিন্ত অধিকাংশ রোগী ধীরে-ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়।

কিন্তু গম গাছের কঁচি পাতার রস থ্যালাসেমিয়া রোগীদের কাছে এক নতুন আশার আলো দেখাতে সক্ষম হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যে সব খবর পাওয়া যাচ্ছে তা খুবই উৎসাহজনক। চিকিৎসা পদ্ধতি একই। রোগীকে গমের কচি কাঁচা পাতার রস খেতে দেওয়া হয়। এছাড়া টিউমার ফেটে গিয়ে ঘা হলে সেখানেও পাতার রস দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া। গমের পাতার রসের চিকিৎসা এটাই।

ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গমপাতার রসে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত লোহা বেরিয়ে যায়। ফলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের ঘন ঘন রক্ত বদলের প্রয়োজন পড়ে না।

সাধারণত, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তদের নিয়মিত রক্ত বদলের প্রয়োজন৷ গমের রস সেক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী বলে জানানো হয়েছে৷ এক গবেষণায় আটশো থ্যালাসেমিকের ওপর গবেষণায় জানা গিয়েছে, গমের রস উপকারী৷ শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য উপসর্গ হিসেবে কিডনি, ফুসফুসেও অনেক বেশি হারে বেড়ে যেতে থাকে লোহার পরিমাণ৷

এই মাত্রা অত্যধিক হয়ে পড়লে, আক্রান্তের মৃত্যুর আশঙ্কাও এড়ানো যায় না৷ কিন্তু, জমে থাকা ওই লোহাকেই শরীর থেকে বের করে দেয় গমের রস৷ তার জন্য, বার বার রক্ত বদলেরও প্রয়োজন কমে যায়৷

Related Posts

Leave a Reply