আপনি কি এই রোগে ভুগছেন? লক্ষণগুলো জেনে নিন
আমাদের মাঝে অনেকেই সুপিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগি। কিন্তু সঠিকভাবে এ সমস্যাটি নির্ণয় করতে না পারায় এ সমস্যাটি আর সমাধান হয় না। এ লেখায় তুলে ধরা হলো সুপিয়রিটি কমপ্লেক্সের সেই জটিলতার লক্ষণগুলো।
ভিটামিন-মি কমপ্লেক্স
সুপিয়রিটি কমপ্লেক্সে যারা ভুগছেন তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ সমস্যাকে স্বীকার করেন না। তারা বিশ্বাস করেন যে, তাদের ধারণা ও বিশ্বাস প্রশ্নাতীতভাবেই সঠিক। আর এভাবেই তারা তাদের মনের নিরাপত্তাহীনতাকে গোপন করেন বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এ জটিলতাকে ভিটামিন-মি কমপ্লেক্স বলা হয়।
কাউন্সিলর পদ্মা রিউয়ারি বলেন, ‘শিশুদের যখন তুলনা করা হয় তখন তারা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে ভোগে। তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে সবাই ভুল। আর এটি অনেকটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গি। এরপর ক্রমে তারা বিশ্বাস শুরু করে যে, আমিই সেরা।’
অন্যদের অবজ্ঞা করা
সুপিয়রিটি কমপ্লেক্সে যারা ভুগছেন তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অন্যদের মতামত নিয়ে চিন্তা করেন না। প্রায়ই অন্যদের অবজ্ঞা করেন। এটি তার আশপাশে থাকা মানুষদের জন্য বিব্রতকর হয়ে ওঠে। মনোবিদ সিমা হিঙ্গোর্যানি বলেন, ‘মানুষ যখন সর্বদা নিজের দিকে মনোযোগী হয় এবং নিজের অর্জনগুলো নিয়ে মাতামাতি করে তখন অন্যদের নানাভাবে অবমাননা করে। তারা প্রায়ই মনে করে অন্যরা কোনো বিষয় অর্জন করেনি। আর এ কারণে অন্যদের মানসিকভাবে অবদমিত করে তারা। ফলে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি হয়।’
অন্যান্য লক্ষণ
এ ধরনের ব্যক্তিরা প্রায়ই নিজেদের একাকী বলে মনে করেন। মূলত তাদের আচরণের কারণেই অন্যরা তাদের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। বস হিসেবেও তারা ভালো হন না। কারণ তারা অন্যদের কাজের জন্য প্রশংসা করতে চান না। এ ছাড়া তারা অন্যদের কাজের অগ্রগতিতেও ঈর্ষাণ্বিত হয়ে পড়েন। ফলে আচরণে এ বিষয়গুলো প্রকাশিত হয়ে যায়।
কিভাবে সুপিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভোগা মানুষদের মোকাবিলা করবেন?
এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অধিকাংশ মানুষই কোনো গুরুতর সমস্যার কারণে এ পরিস্থিতির মাঝে পড়েন। আর এর পেছনে থাকতে পারে ছোটবেলায় তার সঙ্গে ভুল আচরণ। এ বিষয়গুলো মেনে নিয়ে সে যেমন আছে তেমন থাকতে দেওয়াই ভালো। এ ধরনের ব্যক্তিরা নিজেদের জাহির করতে ভালোবাসে। আর এ বিষয়টি অন্যরা যদি মেনে নেয় তাহলে তা খুব একটা সমস্যা হয় না। তবে এ সমস্যা যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে মনোবিদের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।