November 12, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

তরুণীর বিচ্ছেদ সইতে না পেরে ডলফিনের ‘আত্মহত্যা’!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
রুণীর নাম মার্গারেট লোভাট। ১৯৬০ সালে নাসার একটি পরীক্ষার কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তখন তার বসয় ছিল ২০ বছর।

সেই পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখতে চেয়েছিলেন, বুদ্ধিমান প্রাণী ডলফিন কীভাবে সংযোগ তৈরি করে মানুষের সঙ্গে। সেই পরীক্ষার অন্যতম মাধ্যম ছিলেন মার্গারেট। তিনটি ডলফিনের সঙ্গে শুরু হয় মার্গারেটের যাত্রা। এদের নাম ছিল পিটার, পামেলা ও সিসি।

এদের মধ্যে সিসি একেবারেই যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহী ছিল না। আর পামেলা ছিল ভীতু। একমাত্র পিটার ছিল কমবয়সী এবং দুষ্টু। যে যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহী ছিল প্রথম থেকেই। পিটার ও মার্গারেটের মধ্যে গড়ে ওঠে এক অদ্ভুত সম্পর্ক। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পর থেকেই মার্গারেট বুঝতে পারেন, অন্য ডলফিনদের সঙ্গে বেশি সময় কাটালে রেগে যাচ্ছে পিটার।এক সাক্ষাৎকারে মার্গারেট বলেছেন, “আমার আর পিটারের মধ্যে এক আশ্চর্য সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আমরা দু’জনেই দু’জনের সঙ্গ উপভোগ করতাম। আমি হয়তো পানিতে পা ডুবিয়ে বসে আছি, ও কাছে আসত, আমাকে দেখত। আমার শরীরের দিকে ঠায় তাকিয়ে থাকত কিছুক্ষণ। তারপর আমার পায়ের পিছন দিকে দেখত। বুঝতে চাইত, কীভাবে যৌন সম্পর্ক তৈরি করা যায়। তবে ওর দিক থেকেই এতে যৌন আনন্দ ছিল, আমি তেমন কিছুই অনুভব করতে পারিনি।”

এক সময়ে এই পরীক্ষা শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় নাসা। সেই সময় থেকে পিটারের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছেদ হয় মার্গারেটের। কয়েক দিন বাদে দেখা যায়, জলে ভাসছে পিটারের মরদেহ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আসলে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ‘আত্মহত্যা’ করেছে পিটার।

Related Posts

Leave a Reply