যে রেস্টুরেন্টে দ্বিতীয়বার যাবেন না
ব্যস্ত জীবনে প্রায় তিনবেলার খাবারই বাইরে খেতে হয়। তবে বাড়ির খাবার স্বাস্থ্যকর। এটি মুখরোচকও বটে। রেস্টুরেন্টে তো আর সব সময় খাওয়ার রুচি হয় না।
তাই একটু ভালো মানের রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যবিদরা। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ঘুরে ঘুরে খাওয়া অনেকেরই অভ্যাস। ভোজনরসিকদের শখও এটা। কিছু রেস্টুরেন্ট আছে, যেখানে দ্বিতীয়বার না যাওয়াই উচিত। আবার কিছু বিশেষ সময় থাকে যখন ওই রেস্টুরেন্টের খাবার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এসব বোঝার কিছু নিশানা রয়েছে। এগুলো খেয়াল করুন এবং এসব রেস্টুরেন্টে আর দ্বিতীয়বার যাওয়ার চিন্তাই করবেন না।
রান্নাঘরের চুলা নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে
রেস্টুরেন্টের কিচেনে গিয়ে তো আর দেখা যায় না তাদের রান্নাবান্না চলছে কি না। তবে বেশি রাত করে গেলে বা এমনিতেই বোঝা যায়, এখানকার সেবা প্রদানের সময় প্রায় শেষের দিকে। রেস্টুরেন্টে ঢুকে যদি এ অবস্থা দেখেন তো সোজা ফিরে আসুন। অন্য কোথাও যান। কারণ সেখানে যে খাবারের অর্ডার দেবেন, তা বেশ আগেই বানিয়ে রাখা হয়েছে বলে ধরে নিতে পারেন। এ খাবার রুচি ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতেই পারে।
নোংরা ওয়াশরুম
রেস্টুরেন্টে হাত ধোয়া বা টয়লেট ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। যেখানে দেখবেন ওয়াশরুমটা নোংরা, সেখানে আর না যাওয়াই ভালো। আগেভাগে দেখে নিয়ে সেখানে বসা যাবে কি না তাও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যাদের এই অংশটি নোংরা থাকে, তাদের রান্নাঘরের একই দশা ধরে নিতে পারেন। অর্থাৎ ওই রেস্টুরেন্টে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নেই। আর সেখানে খাওয়া উচিত হবে কি না তা আপনিই ভালো বোঝেন।
উপকরণের স্পষ্ট উল্লেখ নেই
খাবারের উপকরণ ও মান নির্দেশনার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে। এগুলো মেনে চলে ভালো মানের রেস্টুরেন্ট। কোন খাবারে কী কী উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে তার স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হয়, যাতে করে ক্রেতারা বোঝে তার কোনটা খাওয়া উচিত এবং কোনটা উচিত নয়। তবে সাধারণত কোনো মেন্যুর উপকরণ বিশদভাবে উল্লেখ করা হয় না। অবশ্য খাবারের নামের সঙ্গেই প্রধান উপকরণের নাম জুড়ে দেওয়ার একটা ট্রেন্ড আছে। এটা অন্তত ঠিকভাবেই করা উচিত। যাদের মেন্যুতে উপকরণের কোনো বালাই নেই, তাদের এড়িয়ে চলুন।
মন খারাপের সংগীত
অনেক ভালো মানের রেস্টুরেন্টে সংগীতের আয়োজন থাকে। লাইভ সংগীত উপভোগ করা যায়, কিংবা স্পিকারে গান বাজতে থাকে। যেখানে সংগীতের আয়োজন মন খারাপ করে দেয়, সেখানে আর নয়। মনোবিজ্ঞানের কথা এটি। এ ধরনের সংগীতের মাঝে খাওয়ার রুচি হারিয়ে যায়। খাদ্যাভ্যাসও বদলে যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্যে হুমকি হওয়া বিচিত্র নয়।
পর্যটনবান্ধব স্থানের কাছেই এর অবস্থান
কোথাও ঘুরতে গেলে কাছের রেস্টুরেন্টেই খাওয়ার কাজ সেরে নেয় সবাই। কিন্তু এটা না করাই ভালো। কারণ এ ধরনের রেস্টুরেন্টে এত বেশি ক্রেতার চাপ থাকে যে তারা স্বাস্থ্যকর বিষয়গুলো অনেক সময়ই এড়িয়ে যায়। তাই জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটের কাছের রেস্টুরেন্টগুলো বাদ দিয়ে একটু দূরে গিয়ে আহারপর্ব সেরে নিন। তা ছাড়া এসব রেস্টুরেন্ট সুযোগ বুঝে অযথাই খাবারের দাম বাড়িয়ে দেয়।