দরজার সেন্সার মাইগ্রেনের জনক, কিভাবে …
কলকাতা টাইমস :
মানুষের শ্রবণক্ষমতার বাইরেও শব্দ রয়েছে, যাকে আল্ট্রাসাউন্ড বলা হয়। এ আল্ট্রাসাউন্ড বিভিন্ন যন্ত্রপাতি থেকে উৎপন্ন হতে পারে। এ আল্ট্রাসাউন্ডের কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
লাউডস্পিকার, দরজার সেন্সর, যানবাহন, কলকারখানা ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি থেকে আল্ট্রাসাউন্ড নির্গত হতে পারে। এছাড়া নানা কারণে আল্ট্রাসাউন্ড দেখা যায় জাদুঘর, লাইব্রেরি, স্কুল, স্টেডিয়াম ও শিল্প কারখানাতেও।
গবেষকরা বলছেন, এ আল্ট্রাসাউন্ডের কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা তৈরি হয় অনেকেরই। এছাড়া আরও কিছু সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে বহু মানুষ। এ সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, মাইগ্রেন, অযাচিত শব্দবিভ্রম ও মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তিভাব।
দীর্ঘদিন ধরে যারা বিভিন্ন আল্ট্রাসাউন্ডপ্রবণ এলাকায় কাজ করেন বা বাস করেন তাদের মাঝেও একই ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা যায়। এক্ষেত্রে ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার, ড্রিলিং যন্ত্রপাতি ব্যবহার কিংবা শিল্প কারখানায় কাজ অন্যতম।
এ বিষয়ে গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের প্রফেসর টিম লেইটন। তিনি জানান, বর্তমানে নিরাপদ শব্দমাত্রা বলে যে নিয়মকানুন প্রচলিত রয়েছে, তা এ সমস্যা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত নয়।
এ গবেষণার জন্য প্রফেসর লেইটন বিভিন্ন জনবহুল স্থানের আল্ট্রাসাউন্ডের মাত্রা মেপে দেখেন। এরপর সে স্থানের আল্ট্রাসাউন্ড বিষয়ে অন্যান্য তথ্যও সংগ্রহ করেন তিনি। এছাড়া অধিবাসীদের স্বাস্থ্যগত প্রভাবও তিনি বিশ্লেষণ করেন।
গবেষণার ফলাফলে তিনি জানান, পাঁচ থেকে ১৯ বছর বয়সীরা ৬০ডিবি আল্ট্রাসাউন্ডের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। তাদের তুলনায় ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সীরা আল্ট্রাসাউন্ডের প্রতিক্রিয়ায় কম ভোগেন।
তবে এ বিষয়ে এখন প্রাথমিক তথ্য জানানো সম্ভব হলেও বিস্তারিত তথ্য জানানোর জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন গবেষকরা। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও গবেষণা করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান প্রফেসর টিম লেইটন।