মাথার ধার বাড়াতে এই পানীয়গুলির জবাব নেই !
কাজ করতে করতে ক্লান্ত? অথচ সব কাজেই ভুল হয়েই যাচ্ছে? তাহলে তো বলতে হয় মগজের ধার কমে যাচ্ছে মনে হয়? এমন কিছু হলে কিন্তু খুব বিপদ! মাথাই যদি না খাটালেন, তাহলে কাজ করবেন কিভাবে? তাই মস্তিষ্কের কাজ বজায় রাখতে হলে কি কি করতে হবে, তারই হদিশ দেবে আজ বোল্ডস্কাই বাংলা। অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন। এমনটা করাতে তাদের মস্তিষ্কের স্পিড যে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, তা বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। যদিও আরও বেশ কিছু পানীয় এবং খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা দারুণ ভাবে বৃদ্ধি পায়। যেমন…
১. বিটের রস: ব্রেনকে সচল রাখতে বিটের রস দারুণ কাজ করে। কারণ এই পানীয়টি পান করলে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে ব্রেন আরও কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করে। প্রসঙ্গত, একটি পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে বিটের রস পান করার পরেই ব্রেনের কাজ করার ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের যে অংশ ডিমেনশিয়ার মতো রোগে দ্বারা আক্রান্ত হয়, সেই অংশেরও যত্ন নেয় বিটের রস। ফলে বুড়ো বয়সে গিয়ে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
২.গাজরের রস: ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, চোখের জন্য গাজরের রস খুবই উপকারি। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে যে গাজরের রস শুধুমাত্র চোখ নয়, মস্তিষ্কের কাজের উন্নতিতেও দারুন কাজে আসে। কারণ গাজরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা এক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের কাজ বজাত রাখতেও নানাভাবে পাশে দাঁড়ায়।
৩. কোকোয়া : কোকোয়ার নাম আমরা কম বেশী সকলেই জানি। কারণ আমাদের সকলের পছন্দের চকোলেট তৈরি হয় এই প্রকৃতিক উপাদানটি দিয়েই। ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেন্স হসপিটাল-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যারা দৈনিক দুকাপ করে কোকোয়া পান করে থাকেন, তাদের মস্তিষ্ক অনেক বেশি কর্মক্ষম হয়ে ওঠে। আসলে কোকোয়ায় উপস্থিত ফ্ল্যাভোনল ধমনীকে সঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ফলে রক্তের প্রবাহের উন্নতি ঘটার কারণে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাকা একান্ত প্রয়োজন যে বেশি মাত্রায় শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া শরীরের পক্ষে খুব ভাল নয়। তাই বেশি মাত্রায় কোকোয়া খাওয়া চলবে না।
৪. রেড ওয়াইন: একথা তো সবারই জানা আছে যে রেড ওয়াইন হার্টের যত্নে দারুণ উপকারি। কিন্তু একতা জানেন কি রেড ওয়াইন ডায়মেনশিয়ার সমস্যাও কমাতে সাহায্য করে। যারা প্রতিদিন দু গ্লাস করে রেড ওয়াইন পান করেন, তাদের শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে নানাভাবে সুফল মেলে। প্রসঙ্গত, কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা পরীক্ষায় জানা যায়, যারা নিয়মিত রেড ওয়াইন পান করেন, তাদের ব্রেন পাওয়ার এতটা বৃদ্ধি পায় যে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না