গর্ভবতীর কানের খোল জানাবে দুধের রহস্য

কানের ভিতরে যে হলদেটে-খয়েরি রঙের বস্তুটা থাকে তার নিজস্ব গুণাগুণ আছে। কানের ময়লা যার পোশাকি নাম ইয়ারওয়াক্স বা চলতি কথায় কানের খোল। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই কানের ময়লা কিন্তু আসলে কানকে সুরক্ষা দেয়। এটি আসলে কানের বাইরে থাকা সিবেসিয়াস গ্রন্থির ক্ষরণ যাকে বলে সেরুমেন । এর মধ্যে থাকে কেরাটিন (৬০%), স্যাচুরেটেড এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (১২-২০%) এবং কোলেস্টেরল (৬-৯%)। এই ক্ষরণ হলদেটে হয়, এরই সঙ্গে বাইরে ধুলো-ময়লা ইত্যাদি মিশে একটা বিদঘুটে রঙ ও আকার নেয়।
গবেষকরা বলছেন, সেরুমেন আর মাতৃদুগ্ধে (Breast Milk) থাকা ‘কোলোস্ট্রামে’র উৎস মানবদেহের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। তাঁদের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, যে সব গভর্বতী মায়ের কানের খোল ভিজে, তাঁদের বুকের দুধে ‘কোলোস্ট্রাম’ যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। যাঁদের কানের খোল শুকনো, তাঁদের তুলনামূলক ভাবে কম। গভর্বতী হওয়ার আগে মহিলারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কানের খোলের সেরুমেন পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করলেই ভাবী সন্তান যথেষ্ট পরিমাণে কোলোস্ট্রামযুক্ত মায়ের দুধ পাবে।