November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

বাসি রুটি খান সুস্থ থাকুন 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

বাসি রুটি কি সত্যিই স্বাস্থ্য়কর? একেবারেই! গবেষণায় দেখা গেছে বাসি রুটি নিয়মিত খেলে বেশ কিছু মারণ রোগ একেবারে সেরে যায়। যেমন সুগারের কথাই ধরুন না। গবেষণা বলছে বাসি রুটির অন্দরে এমন কিছু উপাদান তৈরি হয়ে যায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, বাসি রুটির আরও অনেক গুণ রয়েছে। যেমন…
১. অ্যাস্থেমার প্রকোপ কমে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বাসি রুটির অন্দরে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই দেহের অন্দরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে অ্যাস্থেমার মতো রোগের প্রকোপ কমাতে সময় লাগে না। বিশেষত, বাচ্চাদের অ্যাস্থেমা কমাতে এই ঘরোয়া টোটকাটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

২. এনার্জির ঘাটতি দূর করে: সকাল সকাল মিটিং আছে? হাতে সময় নেই ব্রেকফাস্ট করার? ফিকার নট! আগের দিনের রুটি আর এক গ্লাস ঝটপট খেয়ে বেরিয়ে পরুন। এমনটা করলে পেটটাও খালি থাকবে না। উল্টে এনার্জির ঘাটতিও দূর হবে। ফলে কাজে মন তো বসবেই, সেই সঙ্গে শরীরও চনমনে হয়ে উঠবে।

৩. হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা হ্রাস পায়: শুনতে অবাক লাগলেও একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে নিয়মিত বাসি রুটি খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসার কারণে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়: একাধিক কেস স্টাডি অনুসারে রুটির মধ্যে থাকা ফাইবার, সময় যত এগতে থাকে, তত শক্তিশালী হয়ে উঠতে শুরু করে। তাই তো বাসি রুটি দুধ দিয়ে খেলে হজম ক্ষমতার মারাত্মক উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও কমে যায়। তাই এবার থেকে রাতের বেলা রুটি থেকে গেলে আর ফেলে দেবেন না। বরং ব্রেকফাস্টে দুধ দিয়ে খেয়ে নেবেন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে।

৫. ওজন কমে: চটজলদি অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে বাসি রুটি খাওয়া শুরু করতে পারেন। কারণ এতে উপস্থিত ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার পরিমাণ কমে যেতে শুরু করে। আর যেমনটা সবারই জানা আছে যে কম খেলে, ওজন বাড়ার আশঙ্কাও কমে। সেই সঙ্গে দেহে পুষ্টির ঘাটতিও দূর হয়। তাই যারা বাড়ির বাইরে তাকেন, তারা সকাল সকাল রুটি এবং দুধ খেতে পারেন কিন্তু!

৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে: ঠান্ডা দুধ দিয়ে বাসি রুটি খেলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হয়, যার প্রভাবে দেহে সোডিয়াম বা নুনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও দুধ-রুটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে!

৭. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: অল্প সময়েই ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে চান, তাহলে নিয়মিত বাসি রুটি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। কারণ এমনটা করলে দেহের অন্দরে জিঙ্ক এবং আরও বেশ কিছু খনিজের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে ত্বকের অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়তে থাকে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

৮. ডায়াবেটিস রোগ দূরে থাকে: এক্ষেত্রে বাসি রুটি এবং ঠান্ডা দুধ কিভাবে নিজের খেল দেখায়, তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে জানা না গেলেও এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে ব্লাড সুগারকে কন্ট্রোলে রাখলে বাসি রুটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই আপনার পরিবারে যদি এই মারণ রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে বাসি রুটি খেতে আর নাক শিঁটকোবেন না যেন!

Related Posts

Leave a Reply