আইসক্রিম খেলে ক্যান্সার পালাবে শত হস্ত দূর
এতকাল এটাই জেনে এসেছি, আইসক্রিম খেলেই গলা ধরে। টনসিল থাকলে ফোলে। খুকখুক খকখকের শেষ থাকে না। মন যতই ভালো করে দিক, কারও কারও মতে আইসক্রিম কিন্তু আজও কালপ্রিট। সর্দি, কাশি, জ্বরের যম। কিন্তু তবুও আইসক্রিম আমাদের সকলের প্রিয়। তা সে যতই খারাপ হোক, প্রত্যেকটি দেশের মানুষের কাছেই ‘কুল’ ফেভারিট এই খাদ্য। গ্রীষ্মের হাঁসফাঁসে, শীতের হিমেল হাওয়ায়, বর্ষাকালে বৃষ্টিধারার মতোই গলে গলে পড়ে আইসক্রিম, সঙ্গে মনটাকেও গলিয়ে নিয়ে যায়। তবে অনেকেরই হয়তো জানা নেই আইসক্রিমের বেশ কিছু স্বাস্থ্যসম্মত গুণও আছে। কী কী তা জেনে নিন –
১. ক্যান্সার হয় না আইসক্রিম খেলে
– আইসক্রিমের প্রতিটি স্কুপে ভরপুর ক্যালশিয়াম থাকে। সেই ক্যালশিয়াম কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
২. সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় আইসক্রিম খেলে
– আইসক্রিম স্ট্রেস কমায়, এটা ভুল কথা। বরং বলা ভালো, “হ্যাপি” হরমোনের বৃদ্ধি ঘটায়। যে কারণে মন অনেকটাই হালকা হয়। যে কাজে মন বসে না সচরাচর, তাতে সহজেই মনোযোগ ফিরে আসে আইসক্রিম খেলে। সৃজনশীলতা বাড়ে।
৩. এনার্জি জোগায় আইসক্রিম
– পুষ্টি গুণে ভরপুর বলে আইসক্রিমে থেকে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। ফলে শরীরের হারিয়ে যাওয়া শক্তি ফিরে আসে এক স্কুপ খেলেই। যে কারণে চিকিৎসকরা প্রতিদিন আইসক্রিম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
৪. ব্লাড ক্লটিংয়ে সাহায্য করে আইসক্রিম
– ভিটামিন A,B,C,D,E,K, থিয়ামিন ও নিয়াসিনে ঠাসা আইসক্রিম শরীরকে আরও সুস্থ করে তোলে। ভিটামিন K ব্লাড ক্লটিং বা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
৫. হাঁড় শক্ত করে আইসক্রিম
– শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস। আইসক্রিমে এই দুটোই থাকে। কিডনিতে স্টোন হওয়া থেকে বাঁচায়।