কলকাতা টাইমস :
বিদেশি লগ্নি সংক্রান্ত কারচুপির অভিযোগে বিবিসি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির। আন্তর্জাতিক ওই সংস্থার ভারতীয় শাখাকে শুক্রবার প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার জরিমানা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সংস্থার তিনজন ডিরেক্টরকেও ১.১৪ কোটি টাকার জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সবমিলিয়ে বিরাট চাপে সংস্থা।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিবিসির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বিদেশি মুদ্রা লগ্নি সংক্রান্ত নীতি অমান্য করেছে সংস্থাটি। ২০১৯ সালে জারি করা নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ডিজিটাল মিডিয়া সংস্থা সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে সেই নিয়ম অমান্য করে বিবিসি ইন্ডিয়া নিজেদের সংস্থায় ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ জারি রেখেছিল। যা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। এর প্রেক্ষিতেই এবার আন্তর্জাতিক এই সংস্থার ভারতীয় শাখার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল ইডি।
শুক্রবার ইডির তরফে জানানো হয়েছে, “বিদেশি লগ্নি সংক্রান্ত নীতি অমান্য করার অপরাধে বিবিসি ইন্ডিয়াকে ৩,৪৪,৪৮,৮৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১৫ অক্টোবর থেকে ২০২১-এর পর থেকে কেন্দ্রের নির্দেশ না মানার অপরাধে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত জরিমানা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সংস্থার তিনজন ডিরেক্টর জাইলস অ্যান্টনি হান্ট, ইন্দু শেখর সিনহা ও পল মাইকেল গিব্বন্সকে ব্যক্তিগতভাবে ১,১৪,৮২,৯৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
তবে ভারতের মাটিতে বিবিসির বিতর্ক নতুন কিছু নয়। ২০২৩ সালে বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া, দ্য মোদি কোশ্চেন’ গোটা দেশে সাড়া ফেলে দেয়। যেখানে গোধরাকাণ্ডে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এরপরই বিবিসি ইন্ডিয়ার দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। প্রায় ৬০ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো সংস্থার অফিসে। অভিযোগ ছিল, প্রায় ৪০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে সংস্থা। আয় হিসেবেই দেখানো হয়নি এমন নানা ক্ষেত্রে কর দেয়নি সংস্থা।