ভয়েস বক্সের এই হাল সারাতে সহজ কিছু চিকিৎসা
কলকাতা টাইমস :
লেরিং বা ভয়েস বক্সে যখন প্রদাহ দেখা দেয়, তখন সেই রোগকে চিকিৎসা পরিভাষায় লেরিংজাইটিস বলা হয়ে থাকে। একবার এই রোগ আক্রান্ত হলে কম করে দু সপ্তাহ ভুগতে হয়। প্রসঙ্গত, যদি দেখেন দু সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরেও যন্ত্রণা কমছে না তাহলে যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
এই রোগ আক্রান্ত হলে গলায় যন্ত্রণা, কাশি এবং গিলতে অসুবিধা হওয়ার মতো লক্ষণগুলির বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি কয়েকটি সাধারণ পরীক্ষা করেই বলে দিতে পারবেন আপনি আদৌ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা।
নানা কারণে লেরিংজাইটিস হতে পারে। তবে তার মধ্য়ে অন্য়তম প্রধান কারণ হল অ্যাসিড রিফ্লাক্স। এছাড়া নার্ভ ডেমেজ, ক্ষত, পলিপ, ভোকাল কর্ডে লাম্প অথবা ক্য়ানসারের কারণও এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
লেরিংজাইটিস সারাতে ঘরোয়া চিকিৎসা দারুন কাজে আসে। কেমন ভাবে করতে হয় এই বিশেষ চিকিৎসা? জেনে নিন এই প্রবন্ধটি পড়ে।
১. ধীরে কথা বলুন:
কথা বলার সময় যতটা পারবেন আস্তে কথা বলবেন। এমনটা করলে ভয়েস বক্স আরাম পাবে। তাতে রোগ সারবে তাড়াতাড়ি।
২. প্রচুর পরিমাণে জল পান জরুরি:
লেরিংজাইটিস সারাতে প্রচুর পরিমাণে জল বা জুস খাওয়া জরুরি। এই সময় কফি এবং সোডা একেবারেই খাবেন না।
৩. হিউমিডিফায়ার:
এই সময় ঘরের ভেতরের পরিবেশকে আদ্র রাখাটা খুব জরুরি। তাই প্রয়োজনে হিউমিডিফায়ার ব্য়বহার করতে পারেন।
৪. অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমাতে হবে:
লেরিংজাইটিস হওয়ার পিছনে সব থেকে বড় কারণ হল অ্যাসিড রিফ্লাক্স। তাই গলাকে সুস্থ রাখতে পেটের দেখভাল করাটা জরুরি।
৫. স্পিচ থেরাপি:
কথা বলার কারণে যদি বারংবার এই রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে যত শীঘ্র সম্ভব স্পিচ থেরাপির সাহায্য় নেওয়া উচিত।
৬. গার্গেল:
এক গ্লাস গরম জলে পরিমাণ মতো নুন মিশিয়ে সেই গরম দল দিয়ে বারে বারে গর্গেল করুন। আরাম মিলবে, সেই সঙ্গে রোগের প্রকোপও কমবে।
৭. অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকুন:
আপনি কি মাঝে মাঝেই অ্যালার্জিতে ভাগেন। তাহলে সাবধান হন। কারণ এর থেকে লেরিংজাইটিস হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এক্ষেত্রে যে জিনিস থেকে অ্যালার্জি হয়, তা থেকে দূরে থাকাটা জরুরি।