‘ডিম’ এমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে ১১৭ বছর
কলকাতা টাইমস :
জন্ম তার ১৮৯৯ সালে! ইতালির এমা মোরানো একে একে ছুঁয়েছেন ৩টি শতাব্দী। সদ্যই ছুঁয়েছেন ১১৭তম বছরকে। বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত নারী হিসেবে এরই মধ্যে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। ২৯ নভেম্বর তার ১১৭তম জন্মদিনে এই স্বীকৃতি দেয় সংস্থাটি।
এমা জানিয়েছেন, দাঁত না থাকায় খুব কম খাবার খেয়ে থাকেন তিনি। তবে ডিম তার খুব প্রিয়। আর এ কারণেই তিনি প্রতিদিন ২টি করে ডিম খান। সঙ্গে কুকিজ। আর এই অভ্যাস তার চলছে ৯০ বছর ধরে।
এমা জানান, রক্তস্বল্পতার কারণে ২০ বছর পার হওয়ার আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে ডিম খাওয়া শুরু করেন এমা মোরানো। সেসময় তিনি প্রতিদিন ৩টি করে ডিম খেতেন। তাও আবার দুটো কাঁচা ও একটি রান্না করে। সেসময় সবার ধারণা ছিল, খুব বেশিদিন বোধহয় টিকবেন না এমা। তবে সবার ধারণা মিথ্যে প্রমাণ করে এখনও বেঁচে রয়েছেন এই বৃদ্ধা।
ডিমের পরিমাণ কমিয়ে দিলেও গেলো ৯০ বছর ধরে একই মেন্যু মেনে চলছেন এমা মোরানো। তার চিকিৎসক কার্লো বেভার জানান, ‘যখন আমার সঙ্গে তার দেখা হয় তখন উনাকে সারা দিনে ৩টি করে ডিম খেতে দেখছি। সকালে দুটো কাঁচা ডিম, দুপুরে একটা ওমলেট আর ডিনারে চিকেন। বরাবরই সবজি খুব কম খেতেন এমা। ফল প্রায় খেতেনই না।’
পুষ্টিবিজ্ঞানের গবেষণায় জানা যায়, ডিম ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে, পেশির জোর বাড়াতে, মস্তিষ্ক ও চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল বেশি থাকার কারণে বা ওজন কমাতে অনেকেই ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলেন। তবে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, ডায়েট থেকে পুরোপুরি বাদ না দিয়ে পরিমিত ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
এনবিসি নিউজ হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এডিটর মেডেলিন ফার্নস্ট্রম জানান, ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। একটা ডিমে ৭৫ ক্যালরির পাশাপাশি রয়েছে ৭ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম ফ্যাট ও ১.৬ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এ ছাড়াও আয়রনসহ মোট ১৩টি প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে ডিমের মধ্যে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে, পেশীর জোর বাড়াতে, মস্তিষ্ক ও চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তার মতে, পুরোপুরি বাদ না দিয়ে পরিমিত ডিম খাওয়া উত্তম। একজন সুস্থ মানুষ প্রতি দিন ১টা বা সপ্তাহে ৭টা ডিম খেতেই পারেন।