November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

বলে কি, ওজন কমান তাও ডিম খেয়ে!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
রীকে চাঙ্গা এবং রোগমুক্ত যে যে খাবরগুলিকে কখনও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তার মধ্যে একেবারে প্রথম দিকে রয়েছে ডিম। কেন থাকবে নাই বা বলুন! আকারে ছোট্ট তো কী, ডিমের অন্দরে ঠেসে ঠেসে ভরা রয়েছে প্রোটিন, উপকারি ফ্যাট, ভাল কোলেস্টেরল এবং একাধিক ভিটামিন, যা নানাভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো ৮-৮০, সবাইকেই প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এখন তো ডিমের ইজ্জত আরও বেড়ে গেল। কেন? শোনেন নি, একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে প্রতিদিন একটা ডিম খেলে ওজনও কমে চোখে পরার মতো। তাই তো যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় বেজায় চিন্তায় রয়েছেন তারা আজ থেকেই মন ভরে ডিম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।
ডিম খেলে ক্যালরি বাড়ে না: ডিমে মাত্র ৭৮ ক্য়ালরি থাকে। এই পরিমাণ শরীরে প্রবেশ করলে ওজন বাড়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। কিন্তু পেট ভরে যায় ভাল রকম। ফলে অকারণ মুখ চালানোর প্রয়োজন পরে না। ফলে ক্ষিদের চোটে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
পুষ্টিগুণে ভরপুর: গবেষণায় দেখা গেছে “স্যাটিয়াটি ইনডেক্স” নামক একটি মাপকাঠিতে ডিমের স্থান একেবারে উপরের দিকে। অর্থাৎ ডিম হল এমন খাবার, যা শরীরে প্রবেশ করার পর ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার ইচ্ছা চলে যায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমে যায়। তাই তো ক্ষিদে পেলেই ডিম খাওয়া শুরু করুন। এমনটা করলে একদিকে যেমন ভিটামিন এবং প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হবে, তেমনি ওজনও হ্রাস পাবে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিদে পাওয়ার প্রবণতা প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যায়। ফলে শরীরের কোনও ক্ষয় না হয়েই ওজন হ্রাস পেতে শুরু করে।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: ডিমে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড মেটাবলিজমকে মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে চর্বি জমার সুযোগই থাকে না। আর চর্বি না জমলে ওজন বাড়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। এক কথায় ডিম এত পরিমাণে ক্যালরি বার্ন করে যে ওজন বাড়ে তো নাই, উল্টে কমতে শুরু করে।
ডিম দিয়ে হোক দিনের শুরু: চিকিৎসকদের মতে প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে ১-২ টো ডিম খেলে ওজন বৃদ্ধি কোনও আশঙ্কাই থাকে না। কারণ ডিম খাওয়ার পরের ৩৬ ঘন্টায় ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার ইচ্ছা প্রায় চলে যায়। ফলে শরীরে কম পরিমাণে ক্যালরি প্রবেশ করার কারণে ওজন বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনাই কমে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাকাশিত একটি গবেষণা পত্রে উল্লেখ রয়েছে টানা ৮ সপ্তাহ যদি ব্রেকফাস্টে ডিম খাওয়া যায়, তাহলে ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়া প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
সস্তায় পুষ্টিকর: যেভাবেই বানান না কেন, খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খরচও কম। একবার ভাবুন, মাত্র ৫-৬ টাকা খরচ করলেই ওজন কমে, সেই সঙ্গে প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতিও পূরণ হয়। এমন খাবার আর দ্বাতীয়টি আছে বলে তো মনে হয় না। তাই আর অপেক্ষা নয়, যদি বন্ধুত্ব না থাকে, তাহলে ঝটপট বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলে খাওয়া শুরু করে দিন “আন্ডা”। দেখবেন তড়তড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

Related Posts

Leave a Reply