মরিচায় ঢাকা প্রচণ্ড শীতল মঙ্গলই হবে এলিজার শেষ পরিণতি !
জানা গেছে, ছোটবেলাতেই মাকে হারিয়েছেন এলিজা, তার বেড়ে ওঠা বাবার কাছেই। বাবার হাত ধরেই মাত্র ৭ বছর বয়সে এলিজার স্পেস ক্যাম্পে যাওয়া, আর সেখান থেকেই স্বপ্ন বুনতে শেখা ছোট্ট কিশোরীর। পরে ১২ বছর বয়সে এলিজা সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে আলবামা, কানাডার কুইবেক ও তুরস্কের ইজমিরে নাসার তিনটি ভিন্ন স্পেস ক্যাম্পে অংশ নেয়। তাকে সাহায্য করেছিলেন নাসা’র এক মহাকাশচারী সান্ড্রা ম্যাগনাস। মহাকাশের বেসিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন মিশন কিভাবে পরিচালিত হয়, তা শিখে নিয়েছে এলিজা।
এর আগে, এলিজার যখন ৯ বছর বয়স তখন তার সাথে দেখা হয় নাসা’র এক মহাকাশচারী সান্ড্রা ম্যাগনাসের। এই নারী মহাকাশচারী তাকে জানিয়েছিলেন ছোটবেলাতেই তিনি মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এই কথা ছোট্ট এলিজার চোখে মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন গাঢ় ও দৃঢ় করেছিলো।এলিজা জানে, সে হয়তো আর ফিরে আসবেনা এই পৃথিবীতে। আর মাত্র ১৪ বছর পরে একমাত্র নিঃসঙ্গ মানুষ হিসেবে কোটি কোটি মাইল দূরের লোহার লালচে মরিচায় ঢাকা প্রচণ্ড শীতল নিষ্প্রাণ গ্রহের ক্ষীয়মাণ নীল নক্ষত্রের নিচে হারিয়ে যাবে। তবে তাতে ভীত নয় সে। পোজামের মহাকাশ গবেষক এলিজার সাহসিকতা নিয়ে বলেন, ‘এ বয়সে মহাকাশ যানে ঘুরে বেড়ানো বা ভিন্ন গ্রহে যাওয়ার ইচ্ছা থাকাটা স্বাভাবিক। এলিজাই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এতো কম বয়েসে নাসার ১৪ টি দর্শনার্থী কেন্দ্র যাওয়ার এবং ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও “মার্স ওয়ান” নামের এক বেসরকারি সংস্থা তাকে তাদের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করে। কোনো ছোট খাটো স্বপ্ন এলিজা যে দেখেনি তা সে খুব ভালোই জানে। আর এই স্বপ্নপূরণ করাও সহজ নয়, কিন্তু সে বিশ্বাস করে এই স্বপ্নপূরণ করা আবার দুঃসাধ্যও নয়। তার কথায়- ‘Always Follow Your Dream and Don’t let Anyone Take it From You’।