বিব্রতকর সমস্যা হলেও সমাধান এক নিমেষেই …
[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :
বলা হয়ে থাকে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল! আর অনিয়মিত জীবনযাপন হচ্ছে এই স্বাস্থ্যহানীর অন্যতম কারণ। এতে ছোট-বড় নানা ধরনের রোগের উদ্ভব ঘটে শরীরে। এর মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য একটি। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টিকে অনেক তুচ্ছ মনে হলেও এই তুচ্ছ বিষয়ই পরবর্তীতে অনেক বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটু নিয়ম মেনে চলা, পরিমিত খাদ্যগ্রহণ কমিয়ে দিতে পারে নানা শারীরিক সমস্যার পরিমাণ। তাই সময় থাকতেই প্রতিহত করুন কোষ্ঠকাঠিন্যের এবং এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন –
*দিনে কমপক্ষে দুই লিটার জল পান করুন। মানে ৮ গ্লাস।
*দেখা যায় যে, দুধ খেলে কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, আবার কারো হয় ডায়রিয়া। কেউবা মূলা খেলে সমস্যায় ভোগেন। তাই নিজের খাদ্য নির্বাচনে সচেতন থাকুন এবং কিছু খাবারের বেলায় সতর্ক হোন।
*খাদ্যতালিকায় আঁশযুক্ত খাদ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, দৈনিক খাদ্যতালিকায় ২০-২৫ গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার রাখা বাঞ্ছনীয়। শাকসবজিতেই পাওয়া যায় এসব কাঙ্ক্ষিত আঁশ।
*খাদ্যতালিকায় আমিষজাতীয় খাবার কমান এবং সবজির পরিমাণ বৃদ্ধি করুন। দিন অন্তত দুই ধরনের ফল একটা করে খান।
*প্রতিদিন কিছু ফল ও শাক সবজি কাঁচা খাওয়া অভ্যাস করুন। কলা, কমলা, শসা ইত্যাদি আপনাকে সাহায্য করবে।
*প্রতিদিন সকালে খালি পেতে ইসুপ গুলের ভুষি খাওয়া অভ্যাস করতে পারেন। রাতেই জলে ভিজিয়ে রাখবেন।
*যে রোগই হোক না কেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়া মাত্রই ওষুধ কিনে খাবেন না। প্রথমে খাদ্যতালিকা পরিবর্তনের মাধ্যমে সমস্যা ঠিক করার চেষ্টা করুন। তিন দিনেও ঠিক না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
*ল্যাক্সাটিভ জাতীয় ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার করলে তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়। এ থেকে নানান সমস্যা দেখা দেয়। যেমন – সহজে কোনো ওষুধ কাজ না করা। তাছাড়া অ্যান্টাসিডসহ আরো একাধিক ওষুধ গ্রহণে অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। তাই ওষুধ গ্রহণের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকুন।