‘অকাল মৃত্যুতেও বিশ্বে শ্রেষ্ঠ’, গর্বের বাণী ট্রাম্পের
কলকাতা টাইমস :
মৃত্যু যেভাবেই হোক সেটা দুঃখের। তাও যদি বীরের মৃত্যু হয় তাতে গর্ব করাটা। কিন্তু তাই বলে করোনা ভাইরাসে অকাল মৃত্য নাকি গর্বের ? যিনি এতেও শীর্ষে থাকায় গর্ব প্রকাশ করেন তার স্বাভাবিকতা যিয়েই প্রশ্ন থেকে যায়। প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যায় সবার শীর্ষে আমেরিকা । তার আশপাশেও নেই কোনো দেশ। আর এ বিষয়টিকেই আমেরিকার জন্য মর্যাদার বিষয় হিসেবে দেখছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটাকে দেশটির করোনা টেস্টের সফলতা বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। আমেরিকার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যেই ১৫ লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। মারা গেছে প্রায় ৯৪ হাজার মানুষ।
করোনাভারাস প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘প্রসঙ্গক্রমে যখন আপনারা বলেন, আক্রান্তের সংখ্যায় আমরা শীর্ষে আছি, এর কারণ হল, অন্য যে কারো চেয়ে বেশি পরীক্ষা করছি আমরা। ফলে আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও এটিকে আমি খারাপ হিসেবে দেখছি না। বরং আমার কাছে এটি সম্মানজনক। কেননা, অধিক সংখ্যক আক্রান্তের অর্থ হচ্ছে, আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতি অনেক ভালো।’
ট্রাম্প বলেন, এই সম্মান আমেরিকার করোনা পরীক্ষার পদ্ধতি এবং এর সঙ্গে জড়িত বিপুল সংখ্যক পেশাদারের কাজের বড় ধরনের স্বীকৃতি।
আমেরিকায় করোনাভাইরাস ছড়ানোয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন অনেকে। এক টুইটে রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি বলেছে, আমেরিকায় ১৫ লাখ কোভিড-১৯ রোগী ‘নেতৃত্বের সম্পূর্ণ ব্যর্থতার’ নিদর্শন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা ‘আওয়ার ওয়াল্ড ডাটা’ তথ্য অনুযায়ী, সংখ্যার হিসেবে অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেশি পরীক্ষা হলেও মাথাপিছু পরীক্ষার হিসেবে দেশটি বিশ্বে শীর্ষে নেই, বরং ১৬তম স্থানে আছে। প্রতি হাজারে পরীক্ষার হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র আইসল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া ও কানাডার মতো বেশ কয়েকটি দেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে।