প্রতিদিন বাড়ি ফিরে একটা করে এই পাতা পোড়া, ব্যাস
ক্লান্তি দূর হয়: অফিসে আজ একের পর এক কাজ করতে করতে কী হাঁপিয়ে পরেছেন? তাহলে বাড়িতে এসে ১-২ টো তেজপাতা জ্বালাতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে দেখবেন নিমেষে ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পিনাইন, সিনেওল এবং এলিমেসিনের মতো উপাদান, যা ধোঁয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করা মাত্র নার্ভের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে এনার্জির ঘাটতিও দূর হয়।
ব্রেন পাওয়ার বাড়ে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তেজ পাতার পোড়ানোর সময় তা থেকে বেরনো ধোঁয়া যদি কম করে ১০ মিনিট ইনহেল করতে পারেন, তাহলে ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতা এতটা মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে মনোযোগ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কগনিটিভ অ্যাকটিভিটিও বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গত, তেজ পাতায় উপস্থিত পিনেইন, সিনেওল এবং এলিমিসিন নামক একাধিক কেমিকেল শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে: ইউ এস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে প্রতিদিন ১-৩ গ্রাম পোড়ানো শুরু করলে ইনসুলিনের উৎপাদন এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে রক্তে শর্করার মাত্র বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, এই পরিমাণ তেজ পাতা যদি প্রতিদিন খেতে পারেন, তাহলেও কিন্তু সমান উপকার মেলে।
শরীরের অন্দরে প্রদাহ কমায়: তেজ পাতার অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার দেহের অন্দরে হতে থাকা প্রদাহ কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জয়েন্ট পেন কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণাও কমে যায়। প্রসঙ্গত, তেজ পাতার অন্দরে ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান থাকে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।