পরকীয়া ঘরে ঘরে, বলছে সমীক্ষা
কিন্তু বিশ্বের নানা দেশে পরকীয়ার চিত্রটা আসলে কেমন? এ ধরনের ঘটনা কতটা স্বাভাবিক? পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন কারা বেশি – নারী না পুরুষ?
গবেষণা বলছে পশ্চিমা বিশ্বে স্বামীরাই স্ত্রীদের ঠকান বেশি।স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাসহীনতার বৈজ্ঞানিক পরিমাপ করা কঠিন কাজ। কারণ, প্রায় সব দেশেই পরকীয়া সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য আচরণ। কোন কোন দেশে একে রীতিমতো অপরাধ বলেই মনে করা হয়।
কিন্তু ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে চালানো গবেষণায় জানা গেছে, স্বামীরা স্ত্রীদের চেয়ে বেশি পরকীয়া করেন।যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৬ সালে সোশাল সার্ভেতে জানা গেছে, বিবাহিতদের মধ্যে স্ত্রীকে লুকিয়ে অন্য নারীর সাথে সেক্স করেছেন এমন পুরুষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে দ্বিগুণ।
ব্রিটেনে ২০০০ সালের এক গবেষণা বলছে, একই সাথে একাধিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন ১৫% পুরুষ। অন্যদিকে, মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৯%।
ফ্রান্সের ইন্সটিটিউট অফ পাবলিক ওপিনিয়নের জনমত সমীক্ষা বলছে, প্রায় অর্ধেক (৫৫%) ফরাসী এবং ইতালিয়ান পুরুষ স্বীকার করেছেন যে জীবনের কোন এক সময় তারা জীবনসঙ্গীকে ঠকিয়ে অন্যের সাথে সম্পর্কে করেছেন। ওই একই সমীক্ষায় ৩৪% ইতালিয়ান মহিলা এবং ৩২% ফরাসি মহিলা একইভাবে পরকীয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
মানুষের যৌন আচরণ সম্পর্কে জানতে কনডম প্রস্তুতকারী কোম্পানি ডিউরেক্স ২০০৫ সালে একটি বিশাল জনমত সমীক্ষা চালায়। এই সমীক্ষায় ৪১টি দেশে মোট ৩,১৭,০০০ মানুষের মতামত নেয়া হয়।
এই সমীক্ষায় থেকে জানা যায়, পরকীয়ার কথা স্বীকার করে এমন পুরুষের সংখ্যা তুরস্কে বেশি। অন্যদিকে ইসরায়েলের পুরুষরা পরকীয়া করলেও সেটি স্বীকার করতে একবারেই নারাজ।