বীর্যের সর্বনাশ না চাইলে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
সন্তানের জন্ম দিতে একজন নারীর যতটা সমর্থন প্রয়োজন, তেমনই একজন পুরুষের সাহায্যও ততোটাই গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের পরিপূরক হিসাবে এক্ষেত্রে কাজ করে নারী-পুরুষ। সন্তান গর্ভে আসার পর মহিলাদের সতর্ক থাকা যেমন অবশ্য প্রয়োজনীয়, তেমনই সন্তানকে মহিলাদের গর্ভে আনতে গেলে একজন পুরুষকেও কিছু বিষয় মাথায় রেখে চলতে হয়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন মহিলা-পুরুষ উভয়ের জীবনেই বিপদ ডেকে আনতে পারে।
পরিবেশ-পরিস্থিতির ফলে এখনকার জীবনযাত্রা এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে সবকিছু ঠিক থাকলেও অনেক সময়ে স্বামী অথবা স্ত্রীর নানা শারীরিক সমস্যার ফলে সন্তান ধারণে তীব্র অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে বীর্যের গুণমানের ওঠাপড়াই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। ফলে বীর্যের গুণমান বজায় রাখা একান্ত কর্তব্য। ঠিক কী করলে বীর্যের সক্রিয়তা বজায় থাকবে তা নিচের স্লাইডে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
গরম এড়িয়ে চলুন : রোদের আলোয় ঘুরে ঘুরে অনেককে কাজ করতে হয়। এছাড়া আগুনের তাপ সহ্য করেও অনেকে কাজ করে। এছাড়া যারা দিনের পর দিন বহুক্ষণ একজায়গায় বসে কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। এমন পুরুষদের ক্ষেত্রে স্পার্ম কাউন্ট ও বীর্যের সক্রিয়তা উভয়ই কমে যায়। ত্বক উজ্জ্বল করে, হজম শক্তি বাড়ায়, আর কী কী উপকার রয়েছে কুলের?
নিম্নমানের ডায়েট : দিনের পর দিন ভালো করে খাওয়া-দাওয়া না করলে বা নিম্নমানের খাবার খেলে স্পার্মের সজীবতা নষ্ট হয়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা বীর্যের গুণমান কমিয়ে দেয়।
ওভারওয়েট : শুধু শরীর সুস্থ রাখতে নয়, বীর্যের গুণমান ও সক্রিয়তা ধরে রাখতেও স্বাস্থ্য ভালো রাখা জরুরি। ওজন বাড়লে এগুলি ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা বিশেষ জরুরি। বয়স বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বীর্যের গুণমান ও কাউন্ট দুটোই কমতে শুরু করে।
জ্বর : শরীরের তাপমাত্রা বারবার বাড়লে বীর্যের সক্রিয়তা কমে যায়। বীর্যের উৎপাদনও এর ফলে কমে যায়। ভিটামিনের অভাব শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে স্পার্মের সক্রিয়তা ও সজীবতা দুটোই কমে যায়। এছাড়া জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি১২ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ইত্যাদিও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়।
মদ্যপান : মদ্যপান করলে বীর্যের গুণমান খারাপ হতে বাধ্য। একইসঙ্গে স্পার্মকাউন্টও কমে যায়। ধূমপান প্রতিনিয়ত ধূমপান করা ব্যক্তিরা নিজেই বীর্যের গুণমান কমিয়ে দেন। বীর্যের কার্যকারিতা, সক্রিয়তা ও বেঁচে থাকার সময় সবকিছুই কমিয়ে দেয় ধূমপান। ফলে স্ত্রী বা সঙ্গীকে গর্ভবতী করতে অনেক বেশি সময় লেগে যেতে পারে।