মরশুমি রোগ-ব্যাধির কারণগুলি জানলে চমকে উঠবেন
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
মরশুমি নানা সমস্যা আমাদের শরীরকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। তার মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে ঠান্ডা লেগে জ্বর, হাঁচি, কাশি, সর্দি গলা খুসখুস ইত্যাদি।
এর জন্য আবহাওয়াই সবচেয়ে বেশি করে দায়ী। সবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমান হয় না। যাদের কম থাকে, তাদের খুব চট করে ঠান্ডা লাগার সমস্যা তৈরি হয়।
নানা মরশুমে বৃষ্টিতে ভেজা, ভাইরাসের আক্রমণ ইত্যাদি নানা কারণেও আমাদের শরীর বিগড়াতে পারে। ফলে উপযুক্ত ব্যবস্থাগ্রহণ আগে থেকেই করতে হবে।
জেনে নিন, মরশুমি রোগব্যাধি নিয়ে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সূর্যের আলোর অভাব সূর্যের আলো আমাদের ভিটামিন ডি-র যোগান দেয়। শীতের মরশুমে সূর্যের তেজ তেমন থাকে না। ফলে ত্বকে ভিটামিন ডি কম ঢোকে। এই ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর ঘাটতিতে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়।
বাতাস শীতকালে বাতাস ঠান্ডা ও শুকনো থাকে যা নাকের ভিতরের দেওয়ালকে শুকনো করে দেয়। এর ফলে ফুসফুস ও গলাতেও তার প্রভাব পড়ে ও কাশি ও নানা ধরনের সংক্রমণ হয়।
গ্রীষ্মকাল গরমকালে বাতাস গরম থাকে ফলে শরীর ঘামতে থাকে। ঘর্মাক্ত শরীরে ধুলো জমতে থাকে। যা শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত অ্যালার্জি তৈরি করে ও গলায় সংক্রমণ ঘটিয়ে খুসখুসে কাশি সৃষ্টি করে।
তরল পানীয় শীতকালে গরম পানীয়ে চুমুক দিয়ে আমরা শরীরের তাপকে নিয়ন্ত্রণ করি। গরমকালে ঠান্ডা পানীয়ে গলা ভেজান সকলে। এই ঠান্ডা পানীয় সর্দি-কাশির সংক্রমণের বাড়িয়ে তোলে।
বর্ষার মরশুম বর্ষাকালে শরীর ঠিক রাখা সবচেয়ে কষ্টের। একে বৃষ্টি তার উপরে নানা ধরনের রোগব্যাধির উপদ্রপ। এই সময়ে ঠান্ডা লাগা, নাক দিয়ে জল পড়া, জ্বর ইত্যাদি নানা সমস্যা হয়। নিউমোনিয়ার সম্ভাবনা যারা ফুসফুসের নানা সমস্য়ায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে বর্ষাকালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
তাপমাত্রায় পরিবর্তন কোনও কোনও মরশুমে হঠাৎ করে তাপমাত্রার পরিবর্তন হলে ঠান্ডা লাগা বা নানা ধরনের অ্যালার্জি, শ্বাসজনিত সমস্য়া ও সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দেয়।