পরিবারের রেওয়াজই কাউকে না জানিয়ে লাশ আগলে দিনের পর দিন বসে থাকা
কলকাতা টাইমস :
পরিবারের কেউ মারা গেলে জানানো হয় না প্রতিবেশী বা পুলিশকে। বরং লাশ আগলে বসে থাকেন পরিবারের বাকি সদস্যরা। লাশ গলে যখন দুর্গন্ধ বের হয় তখনই জানতে পারেন সবাই। ভারতের বেহালার এক পরিবার তিনবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
এই পরিবারে লাশ আগলে বসে থাকার প্রথম ঘটনা ঘটে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ছেলে দেবাশীষ চ্যাটার্জি (৪৭) মারা যাওয়ার বেশ কয়েক দিন কেটে গেলেও পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি। তাদের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পেরে সেবার গলিত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে একই বছরের জুলাই মাসে। সেবার মৃত্যু হয় মা ছায়া চ্যাটার্জির (৮২)। কিন্তু এবারও জানানো হয়নি কাউকে। ছায়া চ্যাটার্জির মৃতদেহের সাথে বেশ কয়েক দিন কাটান বাবা ও মেয়ে। পরে কোনোভাবে জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
শেষ ঘটনাটি ঘটে ২০২০-র ১৯ আগস্ট । সেদিন বেহালার ওই বাড়ি থেকে আরো একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এবার মারা যান পরিবারের কর্তা বাবা রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি (৮৬)। প্রায় দুদিন তাঁর দেহ আগলে বসে ছিলেন মেয়ে নীলাঞ্জনা (৫৬)। আগের দুবারের মতো এবারও কাউকে জানানো হয়নি। পরে প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে বুধবার সকালে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মৃত রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে ছিলেন। তাঁর মেয়ে নীলাঞ্জনা চ্যাটার্জি মানসিকভাবে অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপ মালাকার নামের এক ব্যক্তি বলেন, কেউ মারা গেলে তার দেহ আগলে বসে থাকার ঘটনা এ পরিবারে এটা প্রথম নয়। তাই প্রতিবেশীরা যখন দুর্গন্ধ পেতে শুরু করেন তখনই বুঝে যান হয়তো আগের ঘটনাই ঘটেছে। তাই সাথে সাথে পুলিশকে জানানো হয়।