November 12, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

বেগুনি-হলুদ ফুলকপিতে রাতারাতি লাখপতি তিনি 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

কোনোটার রং বেগুনি, আবার কোনওতার রঙ হলুদ। বাজারে বিক্রি হচ্ছে এমনই হরেক রঙের ফুলকপি, এমন অস্বাভাবিক দৃশ্য দেখলে এই মুহূর্তে অবাক হতে বাধ্য আপনি। ভারতের মুম্বাই মহারাষ্ট্রের নাসিকে হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল ৪২ বছরের মহীন্দ্র নিকম। রঙ দেখেই শুধু অবাক হবেন না, দামেও আছে চমক। কপির মোট দাম উঠেছে ১৬ লাখ টাকা।

প্রায় ৭০ দিন আগে নাসিকের এই কৃষক উন্নত বীজ কিনেছিলেন। যা হরিয়ানার কর্ণাল ফার্মে পরীক্ষা করা হয়। এই অনন্য বীজগুলি পুনেতে সিঞ্জেন্টা ইন্ডিয়া লিমিটেড তৈরি করেছে। তিনি প্রায় ৪০,০০০ টাকা খরচ করে এই বীজ কিনেছেন। বিশেষ নকশা করা ফুলকপির বীজ নাসিকের মালাগাঁও উপজেলার দাবদী গ্রামে মহীন্দ্র নিকম তার পাঁচ একর জমিতে বপন করেন।

এখনও পর্যন্ত মহীন্দ্র তার জমিতে হলুদ ও বেগুনি ফুলকপি মিলিয়ে মোট ২০,০০০ কেজি চাষ করতে পেরেছেন। মাহিন্দ্র নিকাম বীজ, সেচ, সার এবং কৃষিজমির জন্য ব্যয় করেছেন প্রায় ২ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত, মহীন্দ্র নিকম রাজ্যের একমাত্র কৃষক, যিনি এই একাধিক রঙের ফুলকপি চাষ করতে সফল হয়েছেন। এখন সেই ফসল উত্তোলনের সময় এসেছে। এই রঙিন ফুলকপি বিক্রির পরে তার আনুমানিক আয় হতে পাড়ে প্রায় ১৬ লাখ টাকা। ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে সেই ফুলকপি।

ভারতের শস্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রঙিন ফুলকপি বীজ আবিষ্কার করতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা সুইজারল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা হয়েছে। পরে হরিয়ানার কর্ণাল টেস্টিং ফার্মে ছোট ফুলকপির চারাগুলি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয়। পরীক্ষার পর পছন্দসই ফলাফল হাতে এলে বীজগুলি দেশের কয়েকটি  চাষির কাছে বিক্রি করা হয়।

মহীন্দ্র নিকম এমনই একজন ভাগ্যবান কৃষক যিনি এই অনন্য বীজে ফসল ফলাতে সফল হয়েছেন। এই হাইব্রিড ফুলকপির পুষ্টির মান খুব বেশি। অ্যান্থোসায়ানিনসের সঙ্গে হাইব্রিড ফুলকপিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ক্যান্সার বিরোধী সুরক্ষার পুষ্টি রয়েছে। সাধারণ  ফুলকপির থেকে এই ফসলে ভিটামিন এ পরিমাণ বেশি। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি, ফ্লু থেকে রক্ষা এবং ত্বকের জন্য উপকারি।

Related Posts

Leave a Reply