এই দিনগুলিতে উপোস করলেই অনেক খুশি সঙ্গে অনেক টাকা !
কলকাতা টাইমস :
একথা তো সবারই জানা আছে যে লক্ষ জন্ম পেরিয়ে তবে এই মানব জীবন পাওয়া গেছে। তাই এই সুযোগকে যদি ঠিক মতো কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে মন কষ্ট এবং হাজারো আফসোস নিয়ে এই পৃথিবী ছাড়তে হবে। আর অনেকের মতো আপনিও যদি এই ধরনের আফসোস ভরা জীবন পেতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধ আপনার জন্য নয়। কারণ এই লেখায় এমন একটি পদ্ধতির সন্ধান দেওয়া হল, তা মনের সব ইচ্ছা পূরণের সম্ভাবনাকে তো বাড়াবেই, সেই সঙ্গে জীবনের ছন্দটাই বদলে যেতেও সময় লাগবে না। পদ্ধতিটি আর কিছুই নয়, উপোস, যা আমরা বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে করে থাকি। কিন্তু হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন পুঁথি অনুসারে সপ্তাহের বিশেষ বিসেষ কিছু দিনে যদি উপোস করা যায় এবং সেই সঙ্গে বিশেষ কিছু দেব-দেবীর পুজো করতে পারেন, তাহলে দারুন সুফল মেলে। এই যেমন ধরুন…
১. সোমবারের উপোস: এই দিন উপোস করে যদি ভগবাব শিবের আরাধনা করা যায়, তাহলে সব ধরনের স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মনের মতো সঙ্গী পওয়ার স্বপ্নও পূরণ হয়। শাস্ত্র মতে সোমবার উপোস করে দেবাদিদেবের আরধনা করলে মেলে আরও অনেক সুফল। যেমন ধরুন- ভয় দূর হয়, কুদৃষ্টির খারাপ প্রভাব থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয় এবং অবশ্যই কর্মক্ষেত্রে সফলতা স্বাদ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, শুক্লা পক্ষের দিন থেকে এই উপোস শুরু করলে বেশি সুফল পাওয়া যায়।
২. মঙ্গলবারের উপোস: সপ্তাহের তৃতীয় দিনে উপোস করে যদি শ্রী হনুমানের পুজো করা যায়, তাহলে মনের জোড় তো বাড়েই, সেই সঙ্গে ভয় দূর হয়, দূর হয় মানসিক চিন্তা এবং স্ট্রেসও। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মনের মতো চাকরি পাওয়া যায়, মেলে বড়লোক হওয়ার সুযোগও। তাই অল্প সময়ে যদি সফল পেতে চান এবং হয়ে উঠতে চান খুশি মনের অধিকারি, তাহলে প্রতি মঙ্গলবার উপোস করে হনুমান জির পুজো করতে ভুলবেন না! প্রসঙ্গত, যাদের কুষ্টিতে মঙ্গল দোষ রয়েছে, তারা যদি সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে উপোস করে দেবের আরধনা করতে পারেন, তাহলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। এক্ষেত্রে সকাল সকাল স্নান সেরে হনুমান জির ছবি বা মূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে ১০৮ বার হানুমান চাল্লিশা পাঠ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন সুফল মিলতে সময় লাগবে না।
৩. বুধবারের উপোস : নতুন কিছু শুরু করতে চলেছে? তাহলে বুধবার উপোস করে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করে সেই নতুন কাজটা শুরু করুন। দেখবেন সফলতা পাবেই পাবেন! শুধু তাই নয়, সপ্তাহের এই বিশেষ দিনটিতে উপোস করলে গৃহস্থে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটে।
৪. বৃহস্পতিবারের উপোস: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বৃহস্পতি যাদের তুঙ্গে তাকে, তাদের কোনও দিন টাকার সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় না। তাই তো এই দিন উপোস করে মা লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণুর পুজো করলে কম সময়ে বড় লোক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনি স্ট্রেস লেভেলও কমতে শুরু করে। ফলে জীবনে সুখ-শান্তি ফিরে আসতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সপ্তাহের এই দিনটিতে মা লক্ষীর পুজো করলে বৈবাহিক জীবনে কোনও সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৫. শুক্রবার : যদি উপোস করা হয়? সপ্তাহের এই দিনটি হল মা দূর্গার দিন। তাই এই দিন উপোস করে যদি মায়ের আরাধনা করতে পারেন, তাহলে নানাবিধ সুফল মেলে। যেমন ধরুন মনের জোড় এতটা বেড়ে যায় যে জীবনে চলার পথে আসা যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভের সম্ভাবনাও বাড়ে। শুধু তাই নয়, যাদের কুষ্টিতে শুক্র দুর্বল, তারা যদি এই নিয়মটি মেনে চলেন, তাহলে দারুন সুফল পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে টানা ১৬ দিন উপোস করতে হবে। তবেই মিলবে উপকার, না হলে কিন্তু…!
৬. শনিবারের উপোস: এই দিন উপোস করে শনি দেবের আরাধনা করলে শনির সাড়ে সাতি কাটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শনি দেবের প্রকোপ থেকেও রক্ষা মেলে। আর এমনটা হলে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ বাঁধার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। প্রসঙ্গত, এই দিন উপোস করে হনুমান জির পুজো করলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
৭. রবিবার: ছুটির দিনেও উপোস করতে হবে? না এমন কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তবে যদি করতে পারেন, তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে উপোস করে সূর্য দেবের আরাধনা করলে দেখবেন সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে জীবন, সেই সঙ্গে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন যেমন পূরণ হবে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভের সম্ভাবনাও বাড়বে। এক কথায় সুন্দর ভাবে বাঁচতে যা যা চাই, তা সবই পাবেন যদি এই দিন উপোস করে সর্বশক্তিমানের পুজো করতে পারেন তো!