‘ভূতের আদেশ’ মেয়ের কান কাটলো পিশাচ বাবা
কলকাতা টাইমস :
ভূত’ এসে কানে কানে বলে গেছে। তাই বছর তিনেকের মেয়ের দুটি কানই কেটে ফেলল বাবারূপী এক পিশাচ। এরপর উদ্যত হন মেয়ের গলাকাটার জন্য। শেষ পর্যন্ত পুলিশের তৎপরতায় মেয়েটি রক্ষাপায়।পূর্ব দিল্লির শাহাদরা এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বাবা অমৃত বাহাদুরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মেয়ের কেটে যাওয়া কান দুটি সংরক্ষণ করে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, অমৃত মানসিক বিকারগ্রস্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, রাত ২টার দিকে ভূত এসে তাকে নির্দেশ দেয় নিজের সৎ মেয়ে বীনাকে কাঁদাতে না পারলে শয়তান এসে তাকে নরকে নিয়ে যাবে। তাই এই কাজ করেছে তিনি।অমৃতের স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা জানান, সময়মতো পুলিশ এসে তাকে ধরে না ফেললে শিশুটির গলাই কেটে ফেলত অমৃত।
অমৃত বাহাদুর (৩৫) নেপালের বাসিন্দা। ২০০০ সালে দিল্লিতে এসে ভাইয়ের সঙ্গে সাফাইকর্মীর কাজ শুরু করেন। বর্তমানে দিল্লির আরবান কাবাব রেস্তোরাঁয় কাজ করেন অমৃত। পরিবার জানায়, দুই মাস আগে আরেক মেয়ের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন অমৃত। প্রায়ই ঘোরের মধ্যে চলে যান। ভূত-প্রেত, শয়তানি শক্তি নিয়ে কথা বলা শুরু করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অমৃতের বক্তব্য তার এক মৌলবী বন্ধুর দেখাদেখি তিনিও ভূতেদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। তাদের নির্দেশ মেনেই সব কাজ করেছেন তিনি। প্রথমে শিশুটিকে কাঁদানোর জন্য তার গায়ে জল ঢেলে দেন অমৃত। পরে তার এক কান কেটে ফেলেন। শিশুটির কান্নার শব্দে পরিবারের বাকি লোকেদের ঘুম ভেঙে যায়। ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি গোঙাতে শুরু করে।
স্বামীকে এই ভয়ানক কাজ করতে দেখে মেয়েকে বাঁচাতে ছুটে আসেন অমৃতের স্ত্রী। কিন্তু তাকে ও বাকি ছেলেমেয়েদের মারধর করে ছাদের ঘরে বন্ধ করে দেয় অমৃত। ফের নেমে এসে শিশুটির অন্য কানটিও কেটে ফেলে।
চিৎকার ও কান্নাকাটির শব্দে ততক্ষণে প্রতিবেশীরা ছুটে এসেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। ডেপুটি পুলিশ সুপার (শাহাদরা) নূপুর প্রসাদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছাই, তখন লোকটি শিশুটির গলা কাটার জন্য তৈরি হচ্ছিল।’