মেয়ের আবদারে বাবা যে সিভি তৈরি করলেন যে গোটা বিশ্ব অবাক !
কলকাতা টাইমস :
গঙ্গারামের বাবা কিন্তু এমন ছিলেন না। ছেলের ‘বিদ্যে বুদ্ধি’ পরীক্ষায় ‘ঘায়েল’ হওয়া নিয়ে একটা কথাও তিনি বলেননি। ছেলের অধ্যবসায় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পড়শিরাই। আর লরেনের বাবা কী কাণ্ডটাই না ঘটালেন ইংল্যান্ডে বসে! কিশোরী লরেন একটু আবদারই না হয় করেছিল বাবার কাছে, জব্বর একটা সিভি বানিয়ে দেওয়ার জন্য। তা বলে এমন হাটে হাঁড়ি ভাঙবেন বাবা? মেয়ের ‘বেয়াদপিপনায়’ তিষ্ঠোতে পারছিলেন না নিশ্চয়ই। লরেনের ‘কীর্তিকলাপ’ সাজিয়ে গুছিয়ে বানিয়ে দিলেন সিভি।
মেয়ের মন জিততে পারেননি তো কী হয়েছে? নেটিজেন দুনিয়ার মন জিতে নিয়েছেন মুহূর্তেই। বিলেতের রেডকার অঞ্চলের বাসিন্দা লরেনের বাবার বানানো সিভি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কেমন ছিল সেই সিভি? শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে ফিনান্স এবং ফ্রেঞ্চ এই দুই বিষয়ে একবার করে ‘ঘায়েল’ হওয়ার উল্লেখ রয়েছে।
কোন কোন কাজে লরেন মুর পারদর্শী, তার ফিরিস্তির তালিকায় সিনিয়র মুর যোগ করেছেন- কথা না শোনা, ফেসবুকে সময় ব্যয় করা, হরদম নথিপত্র হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি।
বিশেষ দক্ষতার ঘরটি মিস করবেন না যেন! আলসেমি, সময় জ্ঞানের অভাব, কাজে অনীহা, ঔদ্ধত্য , লরেনের বাবার মতে এগুলিই মেয়ের গুণাবলী।
লরেন নিশ্চয়ই সাঙ্ঘাতিক চটেছেন বাবার এই অহেতুক সততায়? না, না! মেয়ে নিজেই তো টুইটারে শেয়ার করেছে বাবার লাখা সিভি। কেমন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সবাই এ ব্যাপারে? কেউ বলছে, দুনিয়ার সেরা বাবা তিনি, তাকে সেই তকমা দেওয়া হোক। কেউ রসিকতা করেই লিখছেন, ভাগ্যিস আগেভাগে এমন কিছু একটা দেখে ফেলেছেন, এবার আর বাবাকে দিয়ে সিভি লেখানোর কথা ভাববে না।
লরেনের চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা আছে কী না, তা নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া টুইটারে। সিভির এই হাল দেখে কেউ চাকরি দেবে কী না, তা নিয়ে যেমন সংশয় রয়েছে অনেকের মনে, অনেকেই আবার লরেনকে এই পোস্ট খোলাখুলি শেয়ার করার জন্য বাহবাও দিয়েছেন।