ভয়ে অজ্ঞান করে দিতে পারে ‘ভুতে পাওয়া আলো
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ভূতের মতোই আশ্চর্যজনক কিছু… এ যেন ভুতে পাওয়া আলো! হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, বোতল বাতির কথাই বলছি। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশেও এই বোতল বাতিটি পরিচিত হয়েছে এবং ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। রোজকার ব্যবহার করা পানির প্লাস্টিকের বোতলটি যে এরকম বিস্ময়কর কোন কাজে লাগতে পারে কেউ কি কখনও ভেবেছে!! কোটি কোটি মানুষের বসবাস অন্ধকারাচ্ছন্ন বস্তিতে বা গণ্ড গ্রামে। যাদের সামর্থ্য ও নেই ঘরে বাতি জ্বালাবার। এমনকি ঘরে দিনের আলোও আসেনা এসব ঘিঞ্জি এলাকায়। এমনি সময় এই অন্ধকারে আলোর দিশারী হয়ে আসেন ফিলিপাইনের ইলিয়াস ডিয়াজ। ফিলিপাইনের মালিনায় গরিব অঞ্চলে ২০১১ সালের এপ্রিলে প্রথম এই উদ্যোগ নেন তিনি। একটা স্বচ্ছ প্লাস্টিকের বোতলে পানি ভরে ছাদে স্কাই লাইট হিসেবে ফিট করার কথা ভাবেন তিনি। উনার সংস্থাটির নাম ‘লিটার অব লাইট’।
সোলার লাইট ব্যবহার করে কিভাবে ঘরে বিনা খরচে আলোর ব্যবস্থা করা যায় এটাই এই সংস্থার উদ্দেশ্য। পদ্ধতিটি খুবই সোজা। টিনের চাল কেটে বসানো হবে একটি এক বা দের লিটারের পেট বোতল, পানি ভরে রাখতে হবে, পানি পরিষ্কার হওয়ার জন্য অল্প একটু ব্লিচিং পাউডার দিতে হবে পানির মধ্যে। তারপর বোতলটির মাপে টিন কেটে ফিট করা হবে বোতলটি। বোতলের মুখ বন্ধই থাকবে। কাটা টিনের পাত টি আবার জায়গা মতো বসিয়ে দিলেই হবে। তারপর এতে সূর্যের আলো পড়লেই প্রতিসরণের মাধ্যমে প্রায় ৫৫ ওয়াটের সমপরিমাণ বৈদ্যুতিক বাল্বের আলো পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের বিভিন্ন বস্তিতে বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থায় আলো জ্বালানোর অভিনব কাজটি করছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী।
এই স্বেচ্ছাসেবক দলটির নাম চেঞ্জ। আর এই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ফিলিপাইনের ‘লিটার অব লাইট’ সংস্থাটির ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ’ অর্জন করেছেন তারা।ইতোমধ্যেই মিরপুরের মুসলিম বস্তি আর বাউনিয়া বস্তিতে এই দলটি কাজ করেছে। আলোর পথপ্রদর্শকদের এই উদ্যোগ সফল হোক। এতে করে গরিব লোকেরা শুধু আলোর সুবিধাই পাবেনা , বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে ছড়ানো আগুনের ঝুঁকি থেকেও বাঁচবে। আপনিও হতে পারেন স্বেচ্ছাসেবক দলেরই একজন! আপনিও আনতে পারেন পরিবর্তন। ভালো কাজে দেরি কিসের?