পেটের রোগের চিকিৎসায় মানুষের মল খাওয়ানো হচ্ছে
মানুষের মলের ব্যবহারের রোগের চিকিৎসা সম্ভব বলে জানায় ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস (এনএইচএস)। এর জন্যে মল ভক্ষণ করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মতো মল সংরক্ষণের জন্যে ফ্রোজেন ব্যাংক খোলার ঘোষণা দিয়েছে এনএইচএস।
মানুষের মলের ফ্রোজেন নমুনা ইতিমধ্যে ব্রিটেনের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো শুরু করেছে পোর্টসমাউথের একটি গবেষণাগার। হাজারো পেটের সমস্যায় ভোগা মানুষের চিকিৎসায় মল ব্যবহৃত হবে।
ইংল্যান্ডে বছরে ১৩ হাজার মানুষ ক্লোস্ট্রিডিয়াম ডিফিসাইল রোগে আক্রান্ত হন। এদের প্রতি ৫ জনের একজন প্রচলিত চিকিৎসা করান না। সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এ সমস্যা দেখা দেয়।
কুইন আলেক্সান্দ্রা হসপিটালে কর্মরত পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী রবার্ট পোর্টার জানান, এ রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি স্তন ক্যান্সারের চেয়ে বেশি থাকে। পেটের নানা সমস্যার জন্যে আরো কিছু জীবাণুর ভূমিকা রয়েছে। ক্লোস্ট্রিডিয়াম রোগকে মানুষ কিছুটা অবহেলার চোখেই দেখেন বলে জানান ড. রবার্ট।
তিনি জানান, এ রোগের প্রভাব মারাত্মক। এ রোগে আক্রান্ত মানুষটি বলতে পারেন না কখন তিনি বাড়ির বাইরে যেতে সক্ষম। মৃত্যুর সঙ্গে সরাসরি এ রোগটি জড়িত হতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য শারীরিক সম্যাও থাকতে পারে। তখন এগুলোকেই মৃত্যুর কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়।
ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন থেকে জানানো হয়, ৬৫ ও তার বেশি বয়সীদের ১০ শতাংশ রোগ ধরা পড়ার এক মাসের মধ্যে মৃত্যু। হয় ।
কিছু হাসপাতালে এর চিকিৎসায় মানুষের মলের ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রোগীদের প্রতিদিন ৫০ মিলিলিটার মল খাওয়ানো হচ্ছে। কাজেই ক্লোস্ট্রিডিয়াম ডিফিসাইলের চিকিৎসায় মানুষের মলকে বেশ কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। ক্লোস্ট্রিডিয়াম ডিফিসাইল : এ রোগটি সি. ডিফিসাইল বা সি. ডিফ নামেও পরিচিত।