আজকাল বেশি ক্লান্ত বোধ করছেন? আসল কারণ কিন্তু এটা
কলকাতা টাইমস :
ক্লান্তি দুর্বলতা এখনকার দিনের মানুষের মধ্যে খুব সহজেই থাবা বসায়। যত দিন গিয়েছে, ততই যেন মানুষ বেশি করে ক্লান্তি, দুর্বলতা, অবসাদে ভুগছে। আগেকার মানুষেরাও ক্লান্ত হতেন, তবে তারা আরও কর্মঠ হতেন। আধুনিক খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন আমাদের খুব তাড়াতাড়ি শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত করে দিচ্ছে।
শুনলে অবাক হবেন, জীবনে খুব সুক্ষ্ম অথচ অস্বাস্থ্যকর পরিবর্তনও নিমেষে আপনার এনার্জির মাত্রাটিকে তলানিতে এনে দিতে পারে। ফলে ঠিক কী কারণে ক্লান্তির মাত্রা দিন দিন বাড়ছে তা সঠিকভাবে জানা অত্যন্ত আবশ্যক। তা জানা থাকলে তবেই আপনি তা কমাতে পারবেন।
দেখে নিন ঠিক কী কী কারণে ক্লান্তি গ্রাস করছে আপনাকে।
ঘুমের ঘাটতি: রোজকার ইঁদুর দৌড়ে দৌড়তে গিয়ে প্রত্যেকে নিয়মিত বিশ্রাম নেওয়ার ফুরসত পান না। অথচ শরীর ঠিক রাখতে দিনে আমাদের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো অত্যন্ত প্রয়োজন। এই ঘুম কম হওয়াই আমাদের ক্লান্তির অন্যতম কারণ।
অবসাদ ও মানসিক অস্থিরতা : মনের কষ্ট বা আশাহীনতা ক্লান্তির অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া কোনও বিষয়ে অযথা অস্থিরতা প্রকাশও আপনাকে ক্লান্ত করে দিতে পারে।
অ্যালার্জি : সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, খাবারে অ্যালার্জি ক্লান্তির কারণ। ফলে সবচেয়ে ভালো উপায়, বুঝে নিয়ে সেই খাবারগুলিকে এড়িয়ে চলা।
কোনও একবেলা খাবার স্কিপ করা : নিয়মিত খাবার না খাওয়া বা দিনের মধ্যে কোনও একবেলা খাবার ‘স্কিপ’ করা একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এতে সহজেই ক্লান্তির শিকার হয় শরীর।
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ খাওয়া : আমরা অনেকেই ছোটখাটো অসুখে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজেরাই ওষুধ কিনে খেয়ে থাকি। এই ধরনের পদক্ষেপে নিজের অজান্তেই আমরা ক্লান্তিকে আমন্ত্রণ জানাই। নেশাগ্রস্ত হওয়া তামাকজাত দ্রব্য হোক বা মদ্যপান, দুটোই শরীরের দিক থেকে যেমন খারাপ, তেমনই তা মানসিকভাবে আপনাকে পিছিয়ে দেয়, ক্লান্তি বাড়িয়ে তোলে।
অতিরিক্ত কফি খাওয়া : দিনে ১-২ কাপ কফি চলতেই পারে। তবে ঘনঘন কফি খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে ক্লান্ত করে তুলতে পারে। অতিমাত্রায় শারীরিক কসরত শরীর সুস্থ রাখতে শারীরিক নানা ব্যায়াম অবশ্যই প্রয়োজন। তবে একবারে বেশিমাত্রায় শারীরিক কসরত ক্লান্তির মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
অলস জীবনযাপন: বেশি মাত্রায় কসরত যেমন ক্লান্তি বাড়ায়, তেমনই অলসভাবে দিনযাপনও শরীরকে ক্লান্ত করে তোলে।
ফল না খাওয়া: নানা ধরনের ফল খাওয়া আমাদের সুস্থ থাকতে অত্যন্ত প্রয়োজন। ফলের মধ্যে থাকা নানা খনিজ ও উপকারী উপাদান সহজেই শরীরকে ক্লান্ত হতে দেয় না এবং আপনার ডায়েটকে ব্যালান্স করে।