জ্বর ঠোসায় নাজেহাল, সারানোর সহজ ৫ উপায়
কলকাতা টাইমস :
জ্বর ঠোসা হলে তা নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগা স্বাভাবিক। কারণ এটি যন্ত্রণাদায়ক তো বটেই, সেইসঙ্গে মুখের সৌন্দর্যও নষ্ট করে। জ্বর ঠোসা বেশ পরিচিত একটি সমস্যা। আয়তনে এরা ক্ষুদ্র এবং তরলে ভরা থাকে। সাধারণত ঠোঁটেই এদের আধিক্য দেখা যায়। এই জাতীয় ফোসকা ফেটে যাওয়ার পরে একটি ক্রপ ফর্ম তৈরি করে।
জ্বর ঠোসা নিজে থেকেই নিরাময় হয়, তবে সম্পূর্ণরূপে ভালো হতে সপ্তাহ চারেক সময় নিতে পারে। দ্রুত এটি সারিয়ে তুলতে চাইলে মেনে চলুন এই সহজ ঘরোয়া উপায়গুলো-
আইস কিউব : একটি আইস কিউব নিন। এই আইস কিউবটিকে কিছুক্ষণ ঘাঁয়ের ফোলা অংশে ধরে রাখুন। কিন্তু স্ক্রাচিং করবেন না। একদিনে কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করুন।আইস কিউব আপনার ফোলা ভাবকে দূর করবে এবং দ্রুত ঘা সারিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
নারিকেল তেল : নারিকেল তেল এবং সুতির কাপড় নিন। সুতির কাপড় নারিকেল তেলে ভিজিয়ে আপনার ক্ষতস্থানে হালকা চেপে চেপে লাগান। প্রত্যেক ঘণ্টায় এটি ব্যবহার করুন। নারিকেল তেল একটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এতে ট্রাইগ্লিসারাইডস রয়েছে, যেমন লৌরিক এসিড এবং ওলিক এসিড, যা ভাইরাসকে মারতে পারে এবং ঠান্ডা কালশিটে দ্রুত অপসারণ করতে পারে।
রসুন : একটি ছোট রসুনের কোয়া নিন। রসুনের কোয়া বেটে সরাসরি ক্ষততে প্রয়োগ করুন। ভালো ফলাফলের জন্য, সকালে, খালি পেটে কাঁচা রসুনও খেতে পারেন। দিনে দুই থেকে তিনবার প্রয়োগ করুন। রসুনের নির্যাস হার্পিস সিম্পলক্স ভাইরাসএর উপর ভিরুসইডল এফেক্টেড ফেলে।
মধু: আধ চামচ মধু নিন। আপনার আঙ্গুলের সাহায্যে মধু, ক্ষতস্থানে ৫ থেকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। দিনে দুবার ব্যবহার করুন। মধু অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রোপারটিস সমৃদ্ধ। এটি যে কেবলমাত্র সংক্রামিত কালশিটে নিরাময় করতে পারে তা নয়, ফুলে থাকা ত্বককেও শান্ত করে।
দুধ; কটন বল এবং সামান্য দুধ নিন। কটন বলটি দুধে ভিজিয়ে ঘাঁয়ের ওপরে লাগিয়ে, কিছু সময় অপেক্ষা করুন। ২ ঘণ্টা পরপর ব্যবহার করুন। দুধে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল প্রপার্টি আছে। এটি কেবল সংক্রমণটি পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেই নয়, আপনার ত্বকে শীতল করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।