কাঙাল দেশের এই এক জিনিসেই রাতারাতি কোটিপতি মৎস্যজীবী
কলকাতা টাইমস :
অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকছে পাকিস্তান। সে দেশে গত কয়েক মাসে দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতেই প্রায় রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন এক মৎস্যজীবী। সৌজন্য বিরল প্রজাতির মাছ। ওই মৎস্যজীবী সম্প্রতি সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর জালে যে সমস্ত সামুদ্রিক মাছ উঠেছে, সেই সব মাছের প্রচুর ঔষধি গুণ রয়েছে। সে জন্য বিপুল অঙ্কের টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই মাছ। এর জেরেই রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন ওই মৎস্যজীবী।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মৎস্যজীবীর নাম হাজি বালোচ। তিনি ইব্রাহিম হায়দারি ফিসিং গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর কর্মীরাও সম্প্রতি মাছ ধরতে গিয়েছিলেন আরব সাগরে। সেখানে তাঁদের জালে জড়ায় গোল্ডেন ফিস। সেখানকার স্থানীয় ভাষায় এই মাছকে বলা হয় সওয়া। এই মাছই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকায়। এ বিষয়ে পাকিস্তান ফিসারম্যান ফোক ফোরামের সদস্য মুবারক খান বলেছেন, “যে পরিমাণ গোল্ডেন ফিস পাওয়া গিয়েছিল, তা বিক্রি হয়েছে ৭ কোটি টাকায়। করাচি হারবারে ওই মাছের নিলাম হয়েছে।”
ওই গোল্ডেন ফিসের পেটের ভিতরে থাকা অংশ খুবই মূল্যবান। ওই পদার্থের বিবিধ ঔষধি গুণ রয়েছে। ওই পদার্থ বিভিন্ন রকমের ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। এই মাছের ওজন হয় ২০ থেকে ৪০ কেজি। বড় হলে তা দেড় মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে এই বিপুল অঙ্কের টাকা একা নেবেন না হাজি। তাঁর দলের সাত সদস্যের মধ্যে এই টাকা ভাগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই ধরনের মাছ গভীর সমুদ্রে থাকে। তবে ব্রিডিং মরসুমেই তা উপকূলের কাছে আসে।