যেসব খাবারেই রোমান্টিকতার গুন্
কলকাতা টাইমস :
ভাবতে থাকুন, প্রেমিকাকে নিয়ে সুন্দর একটা জায়গায় বেড়াতে গেছেন। মোমের আলোতে ডিনার, হালকা সঙ্গীত সবই রয়েছে পরিকল্পনায়। সবকিছুই একেবারে মনমতো রয়েছে। কিন্তু মেজাজটা বিগড়ে রয়েছে আপনার। মনে হবে, প্রেমিকা হয়তো আপনার মন-মেজাজটা এমন বিগড়ে দিয়েছেন কোনভাবে।
আসলে যেকোনো কারণেই মনটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটাকে ঠিকঠাক করে নেওয়াটাই আসল কথা। আর এর জন্য বিশেষ কিছু খাবার জাদু দেখাতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে এসব খাবার আপনাকে রোমান্টিক করে রাখে। এমনকি এসব খাবারে যৌন জীবনেও বেশ উপকার মেলে। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নিন সেইসব খাবারের কথা।
১. কোকোয়া : চকোলেটে মেলে কোকোয়া। যারা এর ভক্ত তাদের জন্য সুখবর। কোকোয়ায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং রক্তে নাইট্রিক অক্সাইড সঞ্চালন করে। এতে মনটা ভালো থাকে। রোমান্টিক সময়টা আরো রোমান্সপূর্ণ হয়ে ওঠে।
২. অ্যান্টি-অক্সিডেন্টপূর্ণ যেকোনো খাবার : বেগুনী, লাল এবং নীল আঙ্গুরে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। গাঢ় রংয়ের শাক-সবজিতেও মেলে এটি। রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে এগুলো খেলে মনটা ভালো থাকে।
৩. জিঙ্কপূর্ণ খাবার : সামুদ্রিক খাবারে মেলে জিঙ্ক। এ ছাড়া গরুর মাংস এবং ভেড়ার মাংসেও রয়েছে জিঙ্ক। পালং শাক, মিষ্টি কুমড়ার বিচি এবং স্কোয়াশের বিচিতেও রয়েছে জিঙ্ক। এটা এক ধরনের খনিজ উপাদান যা দেহে টেসটোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ ঘটায়। এই হরমোর নারী-পুরুষের যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে। পুষ্টি উপাদানও রয়েছে অনেক। এসব খাবার মেজাজটা ঠিক রাখে।
৪. বাদাম : পেস্তা বা ওয়ালনাটের মতো বাদাম খেতে বেশ মজা। এগুলোতে মেজাজ ভালো রাখার উপাদান রয়েছে। ওয়ালনাটে রয়েছে আর্জিনিন। এটি নাইট্রিক এসিড তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যৌন তৃপ্তি আনে এই উপাদান।
৫. রসুন : মুখে রসুনের গন্ধ পেলে মেজাজটা অবশ্য খারাপ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এতে রয়েছে প্রচুর অ্যালিসিন। এই উপাদান দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। ফলে মেজাজ ভালো থাকে।