কলকাতা টাইমস :
শরীরের মধ্যে হৃদপিণ্ডের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মস্তিষ্ক। দুটি একাসনে বসানো হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ বেঁচে থাকতে গেলে হৃদপিণ্ডের চলাচল যেমন জরুরি তেমনই মাথার কাজও একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের মস্তিষ্কই সম্ভবত একমাত্র বস্তু যার রহস্যের সমস্ত সমাধান আজ পর্যন্ত বের করে ওঠা যায়নি।
মস্তিষ্ক নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে, ততই বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের অবাক করে দিয়েছে পরতে পরতে এর মধ্যে জড়িয়ে থাকা রহস্য। এখনকার দিনে প্যাকেটজাত খাবার ও দৈনন্দিন জীবনযাপন মস্তিষ্কের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে তাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। আর এর সবচেয়ে বড় শিকার ছোট ছেলেমেয়েরা। যেকোনও বয়সের মানুষই এখন ভুলে যাওয়া বা স্মৃতিভ্রমের অসুখে ভুগছেন।
গবেষণা বলছে, আমাদের খাদ্যাভ্যাসও মনে রাখার ক্ষমতাকে অনেকটা কমিয়ে দেয়। সেজন্য অবশ্যই সাবধান হওয়া প্রয়োজন। নিচে দেখে নিন, কোন কোন খাবার মনে রাখার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়।
প্রসেসড চিজ : চিজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও প্রোটিন থাকে। প্রসেসড চিজ যেমন আমেরিকান চিজ ও মোজারেলাতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট অনেক বেশি থাকে। ফলে তা মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
প্রসেসড মাংস : বাজারের প্যাকেটবন্দি প্রক্রিয়াকরণ করা মাংস খেলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে থাকা ট্রান্স ফ্যাট মনে রাখার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
তোফু বা পনির : মাঝেমাঝে খাওয়া ভালো। তবে বেশি খেলে এই উচ্চ প্রোটিনজাত খাবার ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে।
কৃত্তিম মিষ্টিজাত খাবার : নিজের ডায়েটে কৃত্তিম মিষ্টিজাত খাবার রাখলে মাথা যন্ত্রণা, অবসাদ, ওজন কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা ও স্মৃতিভ্রমের সমস্যা হতে পারে।
সাদা খাবার : সাদা পাঁউরুটি, চিনি, পাস্তা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। এগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে অ্যালজেইমারের মতো রোগ মস্তিষ্কে বাসা বাঁধে।
বিয়ার : যেসকল ব্যক্তিরা বিয়ার পান করে থাকে, তাদের মনে রাখার ক্ষমতা ক্ষীণ হয়। প্রায় ২০ বছর ধরে টানা মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে শেষ বয়সে এসে স্মৃতি দুর্বলতা তৈরি হয়।