এরাই করোনার রক্ষাকর্তা
কলকাতা টাইমসঃ
অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসকে লাগাম পড়াতে মরিয়া গোটা বিশ্ব। বিজ্ঞানীরা উঠেপড়ে লেগেছেন করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজে। বিশ্বের বিভিন্ন বায়োকেমিকেল সংস্থা কাজ করছে এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে। এদের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে যে সমস্ত সংস্থা…..
মর্ডানা-নোভাভ্যাক্স: মার্কিন এই দুই ওষুধ কোম্পানি ইতিমধ্যেই মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে এই ভ্যাকসিনের। আপাতত তারা দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। সফল হওয়ার বিষয়ে যথেষ্টই আশাবাদী তারা।
অক্সফোর্ড ও এনআইএইচ: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকার ‘এনআইএইচ’ যৌথভাবে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। ইতিমধ্যেই ৬ টি বানরের শরীরে সফল প্রয়োগ হয়েছে এটির।
বৃটিশ-আমেরিকা টোবাকো: এরা মূলত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর সিগারেট প্রস্তুতকারী সংস্থা। তাদের দাবি তামাক থেকে উৎপন্ন তাদের ভ্যাকসিনটি মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত।ইতিমধ্যেই তাদের অনুমোদন দিয়েছে আমেরিকা।
অক্সফোর্ড প্রকল্প: এই ভ্যাকসিনটিই আপাতত আলোচনার শীর্ষে। ভ্যাক্সিনটির নাম -ChAdOx1 CoV-19. এস্ট্রোজেনেকা নামক সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে অক্সফোর্ড। নেতৃত্বে রয়েছেন সারাহ গিলবার্ট। সূত্রের খবর ভ্যাকসিন নিয়ে তারা এতটাই আশাবাদী যে ইতিমধ্যেই উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে তারা। সিঙ্গেল ডোজের ভ্যাক্সিনটির দাম সাধারণের নাগালের মধ্যেই থাকবে। এটি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ইনোভিও ফার্মা: সম্প্রতি মানবদেহে করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে এই কোম্পানিটি। ফলাফল জানা যাবে আগামী মাসে। তাদের ভ্যাকসিন উন্নতমানের অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম বলে দাবি ইনোভিও ফার্মার। ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য এরা ১৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে তারা।
ক্যানসিনো বায়োলজিকস: চীনের এই সংস্থা কানাডার কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার সঙ্গে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। নাম -Ad5-nCoV। পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে এটি আপাতত দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। অতীতে ইবোলা ভাইরাসের ভ্যাকসিন উৎপাদনের সুনাম রয়েছে এদের।