একটা আইটেম নম্বরের জন্য এদের পারিশ্রমিক ১ নম্বর স্টারদেরও লজ্জায় ফেলে
কলকাতা টাইমস :
আইটেম নম্বর যেন আলাদা একটা মাত্রা এনে দেয় যে কোনও সিনেমায়। সে ‘শোলে’ হোক বা হালফিলের ‘পটাকা’। তবে দিনে দিনে বদলেছে আইটেম নম্বরের ধরন। আর বদলেছে আইটেম গার্লদের পারিশ্রমিকের অঙ্কটা। এই জমানায় একটা আইটেম নম্বরের জন্য অভিনেত্রীরা কত টাকা নেন জেনে নিন।
অভিনেত্রী হিসেবেই তার বেশি হাঁকডাক। আবার আইটেম নম্বর করেও কাঁপিয়ে দেন কারিনা কাপুর। সে ‘ডন’-এর ‘ইয়ে মেরা দিল’ হোক, ‘ফেবিকল সে’ হোক বা হোক সে ‘হলকট জওয়ানি’ বা ‘ছম্মক ছল্লো’ কারিনার সব আইটেম নম্বরই ভক্তদের বড় পছন্দের। এই কারিনাই একটা আইটেম নম্বরের জন্য ৫ কোটি টাকা করে নেন।
অভিনয়ের জন্য নয়। বরং আইটেম নম্বরের জন্য দর্শকদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন সানি লিওন। ‘বেবি ডল’, ‘দেশি লুক’— এই সব গানে আলাদা মাত্রা যোগ করেছেন অভিনেত্রী। একটা আইটেম নম্বর করতে সানি নেন ৩ কোটি টাকা।
বেলি ড্যান্স হোক বা নাচের অন্য কোনও ধরন বলিউডে মল্লিকা শেরাওয়াতের বিকল্প পাওয়া দুষ্কর। ‘গুরু’ ছবিতে ‘মাইয়া মাইয়া’ গানে তার নাচের স্টেপগুলো যেন এখনও ভুলতে পারেনি দর্শক। একটা আইটেম নম্বরের জন্য দেড় কোটি টাকা নেন মল্লিকা।
আইটেম গান দিয়েই বলিউডে পা রেখেছিলেন মালাইকা অরোরা খান। চলন্ত ট্রেনের উপরে সেই ‘ছাঁইয়া ছাঁইয়া’ গানে মালাইকার নাচ মন ছুঁয়েছিল দর্শকদের। বহুদিন পর আবার ‘পটাকা’ ছবিটিতে একটি আইটেম নম্বরে দেখা গিয়েছে মালাইকাকে। একটি আইটেম নম্বরের জন্য এক কোটি করে টাকা নেন মালাইকা।
আইটেম নম্বরে বিপাশা বসুর নাচও ভুলতে পারেন না দর্শক। ‘ফুঁক দে’ হোক আর হোক সে ‘বিড়ি জালাইলে’— বিপস্-এর নাচ দর্শকদের মনে এখনও গেঁথে রয়েছে। একটি আইটেম নম্বরের জন্য বিপাশা নেন ১ কোটি টাকা।
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের আইটেম নম্বর নিয়েই দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা কম নয়। ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ গানে জ্যাকুলিনের নাচ ছিল তার ভক্তদের মনপছন্দ। জ্যাকুলিন একটি আইটেম সংয়ের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা নেন।
বলিউডের আইটেম নম্বরের দৌড়ে পিছিয়ে নেই সমীরা রেড্ডিও। সমীরা প্রায় ২০-২৫ লক্ষ টাকার মতো নেন একটি আইটেম নম্বরের জন্য।