১২০ বছর ধরে একই গাউনে ১১ কনের আংটি বদল!
কলকাতা টাইমস :
গাউনটি প্রথমবার যিনি পরেছিলেন, তিনি হলেন মেরি লাওরি ওয়ারেন। সালটা ১৮৯৫। আপনাকে যদি কেউ বলে, তার মাতামহীর পরা বেনারসি পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, বিশ্বাস করবেন আপনি?
এক কথায় হেসে উড়িয়েই দেবেন। এমন আবার হয় কি করে।! একটি ওয়েডিং গাউন এমনই রেকর্ড করে ফেলেছে যে, ১২০ বছর ধরে পরিবারের ১০ জন কন্যা বিয়ের সময় এই গাউনটি পরে বিয়ে করেছিলেন। ১১ নম্বর হতে চলেছেন অ্যাবিগাইল কিংস্টন।
গাউনটি প্রথমবার পরেন অ্যাবিগাইলের দিদিমার দিদিমা মেরি লাওরি ওয়ারেন। ১১ ডিসেম্বর ১৮৯৫ সালে বিয়ের আগে ভিক্টোরিয়ান আদলে গাউনটি তৈরি করেছিলেন তিনি। এরপর থেকে তাদের বংশের মেয়েরা বিয়ের সময় অনেকেই এই গাউনটি ব্যবহার করেন।
তবে দ্বিতীয়বার গাউনটি ব্যবহার করেন মেরির নাতনি জেন উড্রাফ। তিনি ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ সালে বিয়ে করেন। জেন-এর বোন ভার্জিনিয়া উড্রাফ-ও বিয়ের সময় দিদিমার গাউটি পরেন। তিনি বিয়ে করেন ১৯৪৮ সালে।
চতুর্থবার পর্যন্ত গাউনটির আকার প্রায় অপরিবর্তিত রেখেই ব্যবহার করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় কনের উচ্চতা অনুয়ায়ী গাউনের ওপর কাচি চালানো হয়। ষষ্ঠবার এটি পরে বিয়ে করেন অ্যবিগাইলের মা লেসলি।
শেষবার এটি ব্যবহার করেন অ্যান ওগডেন। ১৯৯১ সালে ৪ জুলাই বিয়ে করেন অ্যান। এরই বিয়েতে অ্যাবিগাইল এই গাউনটি দেখেন। তখন তার বয়স মাত্র ৫। অ্যাবির কথায়, প্রথমবার দেখেই মনে হয়েছিল আমার দেখা সব থেকে সুন্দর গাউন এটাই। অনেকটা সিন্ড্রেলার গাউনের মতো মনে হয়েছিল। তখনই ঠিক করি, বিয়ের সময় আমি এমনই একটা কিছু পরতে চাইব।
বিয়ে ঠিক হওয়ার পর অ্যানের কাছ থেকে গাউনটি নিয়ে আসেন অ্যবি। কিন্তু তখন ওর অবস্থা দেখে এটা ঠিক করে উঠতে পারেননি, যে বিয়েতে সত্যিই এটা পরা যাবে কিনা। তিনি পেনসিলভেনিয়ার ব্রাইডাল ডিজাইনার ডেবোরা লোপ্রেস্তির হাতে তুলে দেন গাউনটি।
২০০ ঘণ্টার চেষ্টার পর গাউনটি ফের আজকের চেহারা পায়। গাউনটির অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, এর বেশকিছু জিনিস পাল্টে ফেলতে হয়। তবে এর মূল গঠনটি অপরিবর্তিত রেখেই গাউনটি ফের একবার পরার উপযোগী করে দেন ডেবোরা।
তবুও অ্যবিগাইল গাউনটি বিয়েতে সর্বক্ষণ পরবেন না। শুধুমাত্র ককটেল পার্টির সময়ই এটা পরার পরিকল্পনা রয়েছে তার। বিয়ের মঞ্চের পাশে আগে যে ১০ জন কনে গাউনটি পরেছিলেন তাদের ছবিও ফ্রেমে বাঁধিয়ে টাঙিয়ে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাবি।