November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি

টেলিভিশন কিনতে যাচ্ছেন? আগে এই ৪টি জিনিস অবশ্যই খেয়াল রাখবেন

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ক্রেতাদের ঝামেলা থেকে বাঁচাতে টেলিভিশন সম্পর্কে কয়েকটি ধারণা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ধারণাগুলো জানা থাকলে আপনি সহজেই সঠিক টেলিভিশনটি কিনতে পারবেন। ১. প্যানেল : সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কোন ধরনের প্যানেলের টিভি কিনবেন আপনি। নানা ধরনের প্যানেল রয়েছে। সবগুলোই জনপ্রিয়। এর সম্পর্কে ধারণা নিন।
এলইডি: ইলেকট্রনিকসের দোকানে গেলেই আপনাকে এলইডি আর এলসিডি’র মধ্যে নানা পার্থক্য বুঝিয়ে দেবেন দোকানিরা। কিন্তু আসল কথা হলো, এলইডি টিভি মানেই এলসিডি টেলিভিশন যাতে এলইডি ব্যাকলাইটিংয়ের ব্যবস্থ্যা রয়েছে। এ টিভির প্রতিটি পিক্সেল লাইটিংয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। বাড়িতে ব্যবহারের জন্যে এটা বেশ দামী টিভি।
এলসিডি: আধুনিক এলসিডি প্যানেলকে অনেক সময় এলইডি টিভি বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। মূলত এলসিডি টিভিতেই বাড়তি এলইডি যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান বাজারে এটাই সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি। এলসিডি টিভি ছবির গুণগত মান রক্ষায় প্রতিশ্রুতিশীল। তবে এর রিফ্রেশ রেট কম। তাই দ্রুতগতির দৃশ্যে এর ছবির গুণগত মান কিছুটা কম হতে পারে। এলইডি টিভিতে লাইটিংয়ের মাধ্যমে ছবির মান ঠিক রাখা হয়।
প্লাজমা: এ টিভিতে সবচেয়ে ভালো ছবি দেখা যায় বলে মনে করেন অনেকে। তবে কিছু সমস্যা রয়েছে। এ টিভি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ করে এবং এর ছবি প্রায়ই জ্বলে গেছে বলে মনে হয়। তবে গড়ে এ টিভি দেখতে অনেক মজা। এ টিভি সঠিক রং পেতে নিজেই কিছু রংয়ের প্রকাশ বন্ধ করতে পারে।
ওএলইডি: এ প্লাজমা টিভির মতোই। এ টিভি নিখুঁত কালো ফুটিয়ে তুলতে আলো বন্ধ করতে পারে। ফলে কোণ থেকে দেখা, রিফ্রেস রেট ইত্যাদি অন্যান্য যেকোনো টিভির চেয়ে ভালো। এর একটাই সমস্যা। দামটা প্রচুর।
২. টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন : এখন কত ইঞ্চির কি কি অপশনের টিভি চান তা বুঝে নিন। আকার; আসলে যে কক্ষে টিভি রাখবেন তার সঙ্গে মানিয়ে টিভির আকার ঠিক করা উচিত। তবে বাজেটের সঙ্গে মানিয়ে যত বড় টিভি কেনা যায় ততই ভালো। এতে ছবি দেখে দারুণ মজা। আবার যেখানে বসে দেখছেন তার সঙ্গে টিভির দূরত্বও বড় বিষয়। সাধারণ একটি হিসাব হলো, যদি ৫ ফুট দূর থেকে টিভি দেখেন, তবে আদর্শ পর্দার মাপ হবে ৪০ ইঞ্চি।
কানেকটিভিটি অপশন: অন্তত দুটি এইচডিএমআই পোর্টসহ টিভি কেনার চেষ্টা করুন। আর যদি গেমিং কনসোল বা কম্পিউটারের সংযোগ দিতে চান, তবে কানেকটিভিটি অপশন দেখে নিন। কন্ট্রাস্ট রেশিও: উজ্জ্বলতম এবং অন্ধকার অংশ কতটা উজ্জ্বল হবে তা কন্ট্রাস্ট ঠিক করে দেয়। টিভি রেশিও বোঝায় এটি অন্ধকার ও উজ্জ্বলতাকে কতটা উজ্জ্বল দেখাতে পারে। আদর্শ মানের কন্ট্রাস্ট রেশিও অবশ্যই ৩০০০: ১-এর বেশি হওয়া চাই।
কালার: সব নির্মাতাই ভাইব্রেন্ট কালার নিশ্চিত করার কথা বলে। সত্যিকার অর্থে টিভির কালার তার পর্দার মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। তাই এর জন্যে পেশাদার কালারমিটার ব্যবহারের প্রয়োজন। তবে এ যন্ত্র নিয়ে তো টিভি কিনতে যাওয়া যায় না। তাই দেখে নিন টেলিভিশনের ভিডিও এবং ফিড সোর্স একই রং দেখাচ্ছে। কালার সেটিংয়ে গিয়েই দেখতে পারেন অন্য টিভির সঙ্গে আপনার পছন্দেরটার পার্থক্য কতটুকু। এইচডি রেডি অথবা ফুল এইচডি: এইচডি রেডি ১২৮০x৭২০ পিক্সেল প্রদান করে। আবার ফুল এইচডি ১৯২০x১০৮০ পিক্সেল দেয়। যদি এ দুয়ের মধ্যে দামের খুব বেশি পার্থক্য হয়, তবে এইচডি রেডি নিতে পারেন।
৩. যে ফিচারের প্রয়োজন নেই : ব্র্যান্ডগুলো এমন সব ফিচার দিতে থাকেন যার আসলে কোনো প্রয়োজন নেই। এসব ফিচারের মাধ্যমে টিভির মূল্য বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছুই হয় না। এমন কিছু ফিচার দেখে দিন। ৪কে: এর দ্বারা বিশেষ রেজ্যুলেশন বোঝানো হয়। এটা মূলত ফুল এইচডি টিভির চারগুণ রেজ্যুলেশন প্রদান করে। তবে এ টিভির ছবি বোঝা যায় যদি তার পর্দা ৫৫ ইঞ্চির বেশি হয়।
থ্রিডি: যদিও এ টিভি বেশ উপভোগ্য, তবুও সব সময় এটা ভালো লাগে না। তা ছাড়া থ্রিডি ছবি দেখতে বাড়তি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়। স্মার্ট টিভি: বেশ কিছু ফিচারের মাধ্যমে টিভিকে স্মার্ট বানানো হয়েছে। ওয়াই-ফাই স্ট্রিমিং এবং নেটওয়ার্ক প্লেব্যাক ইত্যাদি দেওয়া হয়। এগুলো আসলে বাড়তি ফিচার।
কার্ভড পর্দা: এই পর্দা আধুনিক ট্রেন্ড। কিন্তু সব সময়ই ফ্ল্যাট স্ক্রিন ভালো। কিন্তু নির্মাতারা কার্ভড স্ক্রিনকেই ভালো বলে প্রচারণার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

Related Posts

Leave a Reply